এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আরবিআই থেকে সিবিআই, দেশের মানুষ বলছে বিজেপি টা-টা বাই বাই: মমতা ব্যানার্জি

আরবিআই থেকে সিবিআই, দেশের মানুষ বলছে বিজেপি টা-টা বাই বাই: মমতা ব্যানার্জি


১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশের প্রস্তুতি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে প্রচার কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গে নেত্রীর নির্দেশ মেনেই চলছে জনসংযোগ তৈরি করার কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জেলা সফরে বেরিয়ে পড়েছেন সম্প্রতি। ১৯ এর লোকসভাকে টার্গেট করেই ১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশের প্রচার কর্মসূচীও সারছেন তিনি।

দলীয় ভাবমূর্তির স্বচ্ছতা আমজনতার সামনে উপস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপিকে আক্রমণও চলছে সমান তালে। জঙ্গলমহল সফর সেরে নেত্রী এদিন পৌছালেন শিল্পাঞ্চলে। আসানসোলের জামুরিয়ার সভামঞ্চ থেকেই স্বমহিমায় দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। দৃপ্তকন্ঠে তাঁর ঘোষণা,’ বদলে দিন দিল্লির সরকার,আসুন বিগ্রেড সমাবেশে’।

মঞ্চে পা রেখেই গর্জে উঠলেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন,এই রাজনৈতিক দল কেবল বিভেদের রাজনীতিই করতে জানা। দাঙ্গা বাধায়,মানুষে মানুষে হিংসা তৈরি করে। বিভাজন ঘটনোই এই দলের একমাত্র লক্ষ্য।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবী,ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতি নিয়ে আসে বাংলায় গন্ডোগোল বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। মুখে তাদের জয় শ্রী রাম বুলি,মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে অশান্ত করে তুলছে বাংলা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ডের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিজেপি সেই সম্পর্কটাকেই কলুষিত করে তুলছে। তারা কিছুতেই চায় না বাংলা-ঝাড়খন্ডের সম্পর্ক ভালো থাকুক। তারা রাজ্যের মধ্যে যে বিভাজনের নেশায় মেতেছে,তেমনি পড়শি রাজ্যের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে।

এটা বলার পরই সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারে তোপ দেগে বলেন বিভাজনের রাজনীতি দিয়ে দেশ চালানো যায় না। আর এটা দেশের মানুষের বুঝতে আর বাকি নেই। বলেন, ‘আরবিআই থেকে সিবিআই, দেশের মানুষ বলছে বিজেপি টা-টা বাই বাই।’ অর্থাৎ আরবিআই থেকে শুরু করে সিবিআই সবক্ষেত্রে বিজেপি সরকার দুর্নীতির ছাপ রেখে যাচ্ছে।

‘আচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন দেখিয়ে বিজেপি যে কতোটা দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার চালাচ্ছে তার প্রমাণ তারা নিজেরাই দিয়ে দিচ্ছে। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্থ এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে দেশের সব অবিজেপি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বিগ্রেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন নেত্রী। আর এই সমাবেশে আসানসোলবাসীকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানালেন নেত্রী।

তবে শুধু বিজেপিকে আক্রমণ নয়,এর পাশাপাশি তৃণমূল সরকারে আমজনতার জন্যে কেন হিতকর সেটাও বিশ্লেষণ করেন নেত্রী। আসানসোলবাসীর জন্যে রাজ্যসরকার কোন কোন পরিষেবা দিয়েছে,আগামী দিনে আসানসোলের উন্নয়নের জন্যে রাজ্যসরকারের কাছে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে সেটাও জানান তিনি।

তুলে ধরনে রাজ্যসরকারের চালু করা জনস্বার্থমুখী প্রকল্পগুলোকে। বলেন,বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করলেও বাংলায় তৃণমূল বরাবরের মতো সম্প্রীতির বার্তাই ছড়িয়ে দেবে। বিভাজনের রাজনীতির কোনো ঠাঁই নেই এ রাজ্যে,গর্জে উঠে বলেন নেত্রী। বলেন,বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সহাবস্থান এই বাংলায়। ধর্ম আলাদা হলেও সবাই সব উৎসবে একসঙ্গে আনন্দ উপভোগ করে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। আর এই সংস্কৃতি বিজেপিকে নষ্ট করতে তিনি কিছুতেই দেবে না।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,বছর ঘুরতেই লোকসভা ভোট। দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও অভিজ্ঞমহলের দাবী বছরের গোড়ার দিকেই ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। এই প্রেক্ষিতে ভোটের প্রস্তুতি কর্মসূচি তুঙ্গে রয়েছে সব রাজনৈতিক দলের। আগামী বছর কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে হটানোর প্রতিজ্ঞা বহুদিন আগেই নিয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিজেপি বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারির বিগ্রেড সমাবেশে সমস্ত অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন নেত্রী।

১৮ থেকে ২০ টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সভায় উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। তার আগেই জেলায় জেলায় দলীয় বার্তা পৌছে দেওয়ার কাজটি সারছেন নেত্রী। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে এটি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!