এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিল্লি ফিরেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের একের পর এক বিস্ফোরক রিপোর্ট! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা!

দিল্লি ফিরেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের একের পর এক বিস্ফোরক রিপোর্ট! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা!

পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা করোনার জন্য উদ্বেগজনক হিসেবে ঘোষণা করে সম্প্রতি এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে তীব্র সরব হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি রাজ্যের পক্ষ থেকে এও অভিযোগ করা হয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসে ভুল তথ্য পেশ করবে।

তবে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে রাজ্যের সমস্ত এলাকা যদি পরিদর্শন করা হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের কেন আপত্তি থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। আর এমনই একটা পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য থেকে পরিদর্শন করে ফিরে যাওয়া প্রতিনিধিদল রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তার সম্পর্কে খবর পাওয়া গেল। আর এই ঘটনায় এখন যে প্রবল চাপে রাজ্য সরকার, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে করোনা সেন্টারগুলির 13.1 শতাংশ ভর্তি ছিল। এমনকি রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা সত্ত্বেও সেই পরিমাণ বেড ফাকা থাকার কারণ কি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এপ্রিল মাসের তিন দিন রাজ্যের করোনা বুলেটিন প্রকাশ না করাকেও অমার্জনীয় অপরাধ বলে দাবি করেছে কেন্দ্রের সেই প্রতিনিধিদল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্য সরকার যখন বলছে করোনা মোকাবিলায় তারা সম্পূর্ণরূপে তৎপরতা অবলম্বন করেছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল রাজ্য পরিদর্শন করে কেন্দ্রকে রাজ্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা দেওয়ায় এখন চরম সমস্যায় পড়েছে রাজ্য সরকার। তাহলে কি এই ব্যাপারে চাপ আরও বাড়ল? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কোনো সরকারি মন্তব্য করেননি – ফলে তা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।

তবে এই ব্যাপারে সরব হয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার গোড়া থেকেই যে বৈরিতার মনোভাব নিয়েছিল, কেন্দ্রীয় দলের আচরণে তা স্পষ্ট। অতিমারীতে তথ্য গোপনের প্রসঙ্গ অর্থহীন। তাইতো এখন কো-মর্বিডিটিকে তারা স্বীকার করে নিয়েছে। রাজনীতি আর প্রশাসন গুলিয়ে গেলে বিপদ বাড়বে।”

তবে অনেকেই বলছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে রাজ্য সরকারের। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলের ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে বারেবারেই সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় দলের এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্র সরকার কি পদক্ষেপ নেয় – তা নিয়েও জল্পনার অন্ত নেই। তবে সত্যিই কি রাজ্য সরকার ব্যাকফুটে পড়েছে, নাকি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আচরণ প্রতিহিংসাপরায়ণ! এখন এই রহস্য উন্মোচনেই ব্যাস্ত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!