এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেজেই কি গেল লোকসভা নির্বাচনের দামামা? জানুয়ারী থেকেই এই নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন

বেজেই কি গেল লোকসভা নির্বাচনের দামামা? জানুয়ারী থেকেই এই নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন


আগামী বছরের শুরুতেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে – এমনটাই বিগত কয়েক মাস থেকে শোনা গেলেও, এখনও দিনক্ষণ স্থির হয়নি ভোটের। তবে এপ্রিল-মে মাস নাগাদ এই নির্বাচন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা কথা আগেও জানা গিয়েছে রাজনৈতিক সূত্রের খবরে। এবার এই সম্ভাবনা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের কর্মতৎপরতা দেখে।

বিরোধীরা বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় নির্বাচনে ইভিএমের বাতিলের দাবী তুললেও সে প্রস্তাবে সীলমোহর দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছেকে স্বীকৃতি দিয়েই দেশের সম্প্রতি হওয়া পাঁচটি নির্বাচনও ইভিএমের মাধ্যমেই হয়েছে। তবে এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএম দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওঠে।

আগামী লোকসভা ভোটে যাতে এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্যে এম-থ্রি প্রযুক্তির ইভিএম চলে এসেছে রাজ্যে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই সেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট মেশিন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা হবে।

এই কাজগুলোর জন্যে ‘মাস্টার ট্রেনারও’ নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁদের অধীনেই প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ১০ জন করে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এঁরাই বুথে বুথে গিয়ে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট মেশিনের ব্যবহার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান দেবেন সাধারণ মানুষকে।

ইতিমধ্যেই হায়দ্রাবাদ থেকে তিন লক্ষেরও বেশি ইভিএম চলে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০টি কন্ট্রোল ইউনিট, ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০ ভিভিপ্যাট এবং ১ লক্ষ ১০ হাজার ৭০০ ব্যালট ইউনিট। যেসব জায়গায় প্রার্থীর সংখ্যা বেশি সেখানে বেশি সংখ্যক ব্যালট ইউনিট নেওয়া হয়েছে।

এবারই প্রথম রাজ্যের সব বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট মেশিন থাকবে। এর আগে একটা-দুটো রাজ্যে এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে ছিল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৭৯৯ টি। নতুন মেশিন ব্যবহার করতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়েন তার জন্যে প্রশিক্ষণ শিবির করতে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সব জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আখতাবের। ভোটার তালিকার কাজ, ইভিএম প্রশিক্ষণ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হবে বলেই খবর রয়েছে।

আগামী ৪ জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তাই শেষ পর্বের সংশোধনমূলক কর্মসূচি চলছে এখন। এরমধ্যে সুনীল আরোরা নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে এসেছেন। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় শীঘ্রই তাঁর রাজ্য সফরে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এসব বিষয়েই গতকাল জেলাশাসক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিটিং করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এদিকে, গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপির রাজনৈতিক গতিবিধি আটকাতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ জানাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে স্মারক লিপি জমা দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং জয়প্রকাশ মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

অভিযোগে বলা হয়, বিজেপি একটি সর্বভারতীয় স্বীকৃত দল, অথচ সেই দলকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অগণতান্ত্রিক ভাবে প্রচারমূলক সভা, মিটিং-মিছিল করতে বাধা দিচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে রাজ্য বিজেপিকে আশ্বাস দিয়েছেন সিইও।

সবমিলিয়ে লোকসভা ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এই সক্রিয়তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে আসন্ন লোকসভা সাধারণ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সম্ভবত, ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতেই এই বহু কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!