এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা টিকা আবিষ্কারে ভারতের ভূমিকাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মেনে নিচ্ছেন খোদ বিল গেটস!

করোনা টিকা আবিষ্কারে ভারতের ভূমিকাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মেনে নিচ্ছেন খোদ বিল গেটস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আপাতত ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর পাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে মানুষ। তবে এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। প্রথম থেকেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে গবেষকদের। কোন ভ্যাকসিন কিভাবে আবিষ্কার হবে, শীতের দেশে তৈরি হলে ভারতবর্ষের মতো এমন দেশে কাজ করবে কিনা, তার কার্যকারিতা কি হবে, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে কিনা, কোন কোন মানুষের দেহে এটা ভালো কাজ করবে, এমন হাজারো প্রশ্ন ছিল মানুষের মনে। তবে শেষ পর্যন্ত করোনাকে যখন কোনো ভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না, তখন এত কথা ভুলে গিয়ে কেবলমাত্র ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মানুষ।

তবে একথা বললে তো আর হয় না, কারণ মানুষের প্রাণের সুরক্ষা সবার আগে। তাই দেরী হলেও এমন একটি ভ্যাকসিন তৈরি প্রয়োজন, যা কিনা সবার কাছে সমান ভাবেই প্রযুক্ত করা সম্ভব হবে। হু এর তরফ থেকে ইমিউনিটি বাড়ানোর কথা বলা হলেও পরবর্তীকালে ইমিউনিটি বাড়ানোর থেকেও জোর দিতে দেখা গেছে ভ্যাকসিনের উপরেই। কারণ অনেক ক্ষেত্রে ইমিউনিটি পাওয়ার থাকা সত্বেও মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেক্ষেত্রে করোনা ততটা বেশি মারাত্মক না হলেও মানুষকে আক্রান্ত করবে না, এ বিষয়ে নিশ্চিত বলা যায়নি। তবে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিল গেটস ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাকেই সবার থেকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার কারণ তাঁর মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মহামারী মানুষের কাছে সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে এসেছে। আর সেই জন্যই ভারতের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে গেটস ফাউন্ডেশন ভ্যাকসিন তৈরির কাজে হাত মিলিয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল, সেরাম ইনস্টিটিউট , জাইদাস ক্যাডিলা, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং ভারত বায়োটেকের সঙ্গে কথা বলেছিল কেন্দ্র সরকার। এছাড়া রাশিয়া নাকি ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে এবং সরকারিভাবে সেই ভ্যাকসিন টেস্ট-এর প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে জানা গেছিলো। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছিল সেই ভ্যাকসিন নাকি ভারতসহ পাঁচটি দেশে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে বলেও জানা যায়।

তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল অক্সফোর্ডের তৈরি আরও একটি ভ্যাকসিনের ওপর। যার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভালো সাড়া মেলে। এরপরই ভারতে এই টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট। এরপর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষাও হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই সঙ্গে শুরু হয় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ । এই সময় প্রথমে ভালো খবর পাওয়া গেলেও পরবর্তীকালে জানা যায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি প্রয়োগকারী একজনের শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং তারপরই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মানুষের ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত আশা নষ্ট হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি আবারও সেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে মানুষ তার ওপর আবার ভরসা ফিরে পেয়েছে। তবে এদিন জানা গেছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরে ধনী-গরীব দেশ নির্বিশেষে সকলে ভ্যাকসিন বন্টন করা হবে। ফলে মৃত্যুর হারকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!