যত সময় যাচ্ছে করোনা সংক্রমণও তার বিস্তার লাভ করছে। বিভিন্ন দেশে এই মুহূর্তে বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা দিনরাত এক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের। যদিও এখনো পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেভাবে করোনার প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রাণপণে, তাতে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে যতদিন না করোনার প্রতি্ষেধক আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বিভিন্ন রকম ওষুধ দিয়ে করোনার সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

তবে এবার সুখবর শুনিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। সূত্রের খবর, সারাবিশ্বে একশোর বেশি জায়গায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে রীতিমত গবেষণা চলছে। তবে এর মধ্যে জানা গেছে দশটি ক্ষেত্র তাঁদের কাজ অনেকটাই সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আর এই 10 টি সংস্থার মধ্যে অন্যতম হলো জনসন অ্যান্ড জনসন। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুমাসের মধ্যে তাঁরা হিউমান ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে তাঁদের প্রতিষেধকের।

সূত্রের খবর, জুলাই মাসের দ্বিতীয় ভাগ থেকেই এই কাজ শুরু করবে জনসন এন্ড জনসন কোম্পানি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই আমেরিকার সরকারের সঙ্গে জনসন অ্যান্ড জনসনের চুক্তি হয়েছে প্রতিষেধক নিয়ে। এমনকি 2021 এর মধ্যে এক বিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন বলে খবর। যদিও এখনো পর্যন্ত জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি থেকে প্রতিষেধকের কোনো কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়নি বলে জানা গেছে।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসন এ সম্পর্কে জানিয়েছে যে তাঁরা আগামী দিনে 1045 জনের ওপর তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। 18 থেকে 55 বছর যাঁদের বয়স তাঁদেরকেই বেছে নেওয়া হবে এই পরীক্ষার জন্য। এছাড়াও 65 বছরের ওপর যাঁদের বয়স, তাঁদের উপরেও করোনার প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা চলবে বলে জানা গেছে। এখনো পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালানো নিয়ে একদম সামনের সারিতে আছে মডার্না সংস্থা।

ইতিমধ্যেই তারা করোনার প্রতিষেধক নিয়ে মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এই মধ্যবর্তী পর্যায়ে মডার্না সংস্থা প্রায় 600 জনের ওপর তাঁদের প্রতিষেধকের পরীক্ষা চালাবে বলে খবর। সূত্রের খবর, এই সংস্থার লেট স্টেজ ট্রায়াল হবে আগামী জুলাই মাসে। তবে সুখবর বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই মুহূর্তে মারাত্মক আশাবাদী করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর ব্যাপারে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ চলছে ভাইরাস বনাম মানুষের। তাই মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাতারাতি করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরি করা যে মারাত্মক কঠিন তা এতদিনে সবাই বুঝে গিয়েছে। তবুও প্রতিটি দেশই চাইছে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে মানবজাতিকে নতুন করে বাঁচার আলো দেখাতে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেভাবে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছে সমস্ত দেশ, তাতে যে কোন মুহূর্তে করোনা দূরীকরণের জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যে কোন দেশ।