এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা ভ্যাকসিনের কাঁচামাল সাপ্লাইয়ের নামে হ্যানিট্র্যাপ! পাঁশকুড়ার ব্যবসায়ী খোয়ালেন 55 লক্ষ

করোনা ভ্যাকসিনের কাঁচামাল সাপ্লাইয়ের নামে হ্যানিট্র্যাপ! পাঁশকুড়ার ব্যবসায়ী খোয়ালেন 55 লক্ষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে চিন্তার কারণ করোনা ভাইরাস। সকলেই ভয়াবহ এই মারণ রোগের দাপট থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরার মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে এই মারণ রোগ।আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যখন অসুবিধায়, ঠিক তখনই প্রতারণা চক্রের একটি অংশ সেই করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখেই তাদের প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে।

জানা গেছে, এবার করোনা প্রতিষেধক তৈরীর কাঁচামাল সরবরাহ নাম করে প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে 55 লক্ষ টাকা খুইয়েছেন পাঁশকুড়ার এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, হ্যানিট্র্যাপের স্টাইলে স্কটিশ নাগরিকের পরিচয় দিয়ে এক মহিলা এই প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছিল ব্যবসায়ী আশিস সামন্তের কাছে। গোটা ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুত, গত 6 এপ্রিল ব্যবসায়ী আশিস সামন্তের সঙ্গে এক মহিলার অনলাইনে পরিচয় হয়। আর এর পরেই আশিসবাবুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে নিজেকে স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে সেই মহিলা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। চলে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন।

পরবর্তীতে সেই মহিলা নিজেকে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জনপ্রিয় ম্যানেজার বলে পরিচয় দেয়। এমনকি ভারত থেকে করোনা প্রতিষেধকের ওষুধের কাঁচামাল নেওয়া হচ্ছে বলেও আশিস সামন্তকে জানান সেই মহিলা। কমিশন পাওয়ার লোভ দেখিয়ে আশিসবাবুকে সেই কাজে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরবর্তীতে আশিসবাবুকে মহারাষ্ট্রের এক সংস্থার ঠিকানা ফোন নম্বর, ইমেইল দিয়ে 6 জুলাই বিদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইট গিয়ে কাঁচামাল নিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দেন সেই মহিলা। এদিকে ফোন নম্বর পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবসায়ী আশিস সামন্ত কাঁচামাল কেনার জন্য অর্ডার দিয়ে দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এর পরেই তৈরি হয় সমস্যা ধীরে ধীরে পর্দা ফাস হতে শুরু করে। অভিযোগ, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে মোটা দামের 40% অগ্রিম দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি তা না হলে কাঁচামাল পাঠানো সম্ভব না বলেও জানানো হয়। আর এইভাবে আশিসবাবুর কাছ থেকে ধাপে ধাপে 54 লাখ 61 হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কাঁচামাল তার কাছে না আসায় এবার আশিসবাবু বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি প্রতারণা চক্রের সম্মুখীন হয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় এখন হতাশ সেই ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে পাঁশকুড়া থানায় একটি অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রতারিত আশিস সামন্ত বলেন, “আমি নিজে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। তার পরেও ওই প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালাম। করোনা ভ্যাকসিনের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল পাঠিয়ে মোটা কমিশনের লোভ দেখিয়েছিল। ইচ্ছা ছিল না। তবুও স্কটিশ পরিচয় দেওয়া ওই মহিলার জেদাজেদিতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। প্রতারণার বিষয়টা আমার কাছে এখন জলের মত পরিস্কার। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তদন্তকারী অফিসাররা চাইলে আমার কিছু টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু পুলিশ আগ্রহ দেখাচ্ছে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে করোনা ভাইরাসের সময়কালেও প্রতারণা চক্র ফাদ পেতে বসেছে এবং এক ব্যবসায়ী যেভাবে তার সর্বস্ব খুইয়ে ফেললেন, তাতে রীতিমত চিন্তা বাড়ছে সকলের মধ্যে। সব মিলিয়ে এখন পুলিশ এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!