এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ভ্যাক্সিন আপডেট – তাড়াহুড়োয় যেতে পারে প্রাণ! বড়সড় সিদ্ধান্ত প্রস্তুতকারী সংস্থার

করোনা ভ্যাক্সিন আপডেট – তাড়াহুড়োয় যেতে পারে প্রাণ! বড়সড় সিদ্ধান্ত প্রস্তুতকারী সংস্থার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশ এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো জেরবার। দীর্ঘদিন ধরে করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত ভারতে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় করোনাকে আটকানোর একমাত্র উপায় হল প্রতিষেধক। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত রূপে কিছু বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এবং এক্ষেত্রে ভারতও পিছিয়ে নেই। বেশ কিছুদিন আগেই ভ্যাকসিন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছিল ভারতের বুকে। এতদিনে সবাই জেনে গেছে, ভারতে করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছে ভারত বায়োটেক নামক সংস্থা। তবে সম্প্রতি এই সংস্থার চেয়ারম্যান ডঃ কৃষ্ণ এলা জানিয়ে দিয়েছেন, তাড়াহুড়ো না করে, চাপের মুখে না ঝুঁকে, সর্বোচ্চ মানের প্রতিষেধক তৈরিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। এদিন ডক্টর কৃষ্ণ এলা আরো জানিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলবে না তাঁর সংস্থা।

ইতিমধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে 23 লক্ষের কাছাকাছি। এখনো পর্যন্ত প্রায় 51 হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। আর তার মধ্যেই প্রতিষেধকের আশা জাগিয়ে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের। সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে কোভ্যাক্সিন ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। এবং এই ট্রায়াল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ বলে দাবি করেছেন ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বাজারে দ্রুত প্রতিষেধক নিয়ে আসার জন্য তাঁর ওপর চাপ বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সুরক্ষা বজায় রাখতে এবং প্রতিষেধকের মান ঠিক রাখতে বদ্ধপরিকর তাঁর সংস্থা, সে কথাও তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত পূর্বে এই 15 আগস্টের মধ্যে প্রতিষেধক আনার দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও পরে সেই দাবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার বাকি আরো দুই পর্যায়ের পরীক্ষা হওয়া, যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরাও দাবি করছেন, তাড়াহুড়ো করলে ভ্যাকসিনের ব্যাপারটি হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

তবে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, ভারত বায়োটেকের কর্ণধার যে চাপের কথা বলছেন সেই চাপের উৎস কোথায়? কে বা কারা দিচ্ছে চাপ? তবে নিঃসন্দেহে করোনার প্রতিষেধকের দিকে যেভাবে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন ভারতের বৈজ্ঞানিক মহল, তাতে করে সাধারণ মানুষের মনে যথেষ্ট আশার আলো জাগতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সাথে সাথে অবশ্য অন্যান্য বিভিন্ন দেশও এগিয়ে চলেছে করোনার মোকাবিলায় অস্ত্র ধরতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!