করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে না দিতেই এবার নতুন ভাইরাসের হানা, তীব্র উদ্বেগে চিকিৎসকরা অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য June 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহতা দেখা গিয়েছে গত বছর থেকেই। একের পর এক করোনা ঢেউয়ের কারণে বিপর্যস্ত মানবজীবন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনরকমে সামাল দেবার পর ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছে। আর এই অবস্থায় আতঙ্ক জাগিয়ে এবার আরো এক ভাইরাস আতঙ্ক সামনে এসেছে। বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ ভাইরাসের মধ্যে অন্যতম হলো নিপা ভাইরাস। আর এই নিপা ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেল এবার মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বরে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সামনে আসার পর চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার মহাবালেশ্বর গুহায় সন্ধান মিলেছে বাদুড়ের, যাদের শরীরে নিপা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সূত্রে। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত মোট চারবার ভারতে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মহারাষ্ট্রে এই প্রথম নিপা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেল বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, করোনার মতোই নিপা ভাইরাসেরও কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক নেই। এবং সে কারণেই নিপা ভাইরাস অনেক বেশি মারাত্মক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যাচ্ছে, 2020 মহাবালেশ্বরের একটি গুহায় দুই প্রজাতির বাদুড়ের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে নিপা ভাইরাসের সন্ধান পান গবেষকরা। প্রসঙ্গত গত কুড়ি বছরে চারবার ভারতে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে 2001 সালে প্রথমবার দেখা পাওয়া যায় নিপার। এরপর 2007 সালে নদীয়া জেলায় নিপার দর্শন মেলে। এরপর 2018 সালে নিপা ভাইরাসের কারণে 18 জনের মৃত্যু হয় এবং 2019 এ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিপা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। 2018 সালে একটি সমীক্ষা চালানো হয় ভয়ংকর নিপা ভাইরাসের ওপর এবং সেখানেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসজনিত রোগের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভারতীয় রাজ্য আছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে যখন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি দেখা যাচ্ছে, সে সময় মহারাষ্ট্রে নিপা ভাইরাসের উৎপত্তি মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের উদ্বেগ চতুর্গুণ বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -