এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন রাজ্যের এক প্রথিতযশা চিকিৎসক

করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন রাজ্যের এক প্রথিতযশা চিকিৎসক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা সংক্রমণ কালে চিকিৎসকেরা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আর্তের সেবা করছেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চুপিসারে তাঁদের শরীরে হানা দিচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অকালে জীবন দীপ নিভে গেছে বহু চিকিৎসকের। আবার, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো রাজ্যের এক প্রথিতযশা চিকিৎসকের। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুব্রত সোম। গত ২২ সে নভেম্বর তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। গতকাল শুক্রবার করোনা আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর পরিবারের সকল সদস্যও করোনা আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত মালদহে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৪ বছর বয়স্ক চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুব্রত সোম। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটতে থাকে। একারণেই শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্থানান্তর করা হয়েছিল কলকাতার বাইপাসের ধারে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি দেখা যাচ্ছিল না। এ কারণে তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এর পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি দেখা যায়নি। গত ৭ ই ডিসেম্বর তিনি মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাসপাতাল সূত্রের খবর, চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুব্রত সোমের শরীরে করোনা ছাড়াও একাধিক কোমরবিডিটি ছিল। একাধিক সমস্যায় তিনি আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর রক্তচাপের সমস্যা ছিল, ছিল হাইপারটেনশনের সমস্যা। চক্ষু বিশেষজ্ঞের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি করছিল। গতকাল শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র থেকে জানানো হয়েছে যে, চিকিৎসক সুব্রত সোমের পরিবারের সমস্ত সদস্যর করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। চক্ষু বিশেষজ্ঞের মৃত্যুতে চিকিৎসক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। যার ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। যে চিকিৎসকেরা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আর্তের সেবায় এগিয়ে এসেছেন, তাঁরা যদি এভাবে মৃত্যুর মাঝে চলে যান, তবে, বিপদের দিনে সাধারণ মানুষেরা কার কাছে যাবেন? এটা ভেবেই আতঙ্ক বাড়ছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!