এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দু-হাজার কোটির উপর অনুদান বিল গেটসের! করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে ভারতের জন্য একাধিক বড়সড় সুখবর!

দু-হাজার কোটির উপর অনুদান বিল গেটসের! করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে ভারতের জন্য একাধিক বড়সড় সুখবর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা মোকাবিলায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল প্রথমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অত্যন্ত ভালো ফলাফল করলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিন তৈরীর ছাড়পত্র পায়। সেই মত ট্রায়ালের কাজ শুরু হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় ট্রায়ালে ভালো ফল করার পর তৃতীয় ট্রায়াল চলাকালীন খবর আসে, আমেরিকায় এই ভ্যাকসিন প্রয়োগকারী একজন স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অসুস্থতার কথা। তারপরে নিয়ম মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রায়ালের কাজ। তবে পরবর্তীকালে ট্রায়ালে সবুজসংকেত দেওয়া হলে পুনরায় ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার কাজ শুরু হয়।

সেইসময় সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ক্যাডিলা ও ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ করে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে বলে জানা যায়। তবে সেই কাজে বেশ জোর লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া আগামী বছর তৈরি করবে কোভিড ১৯-‌এর টিকার বাড়তি আরও ১০ কোটি ডোজ। শুধু তাই নয়, এই ২০ কোটি ডোজের মধ্যে ১০ কোটিই তৈরি হবে এদেশের জন্য। আর তাই বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেট্‌স ফাউন্ডেশন ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন্‌স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন্‌স বা গ্যাভি-র কাছে থেকে পাওয়া বাড়তি ১৫ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা এভাবেই কাজে লাগাতে চলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যদিও আগস্ট মাসে ঠিক করা হয় যে, ২০২১ সালে টিকার ১০ কোটি ডোজ তৈরি করা হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে তা বাড়িয়ে ২০ কোটি ডোজ করা হয়েছে। এই কাজে আগে গেট্‌স ফাউন্ডেশন ও গ্যাভি দিয়েছিল ১৫ কোটি ডলার। তবে এখন তারা মোট ৩০ কোটি ডলার (ভারতীয় টাকায় ২,২০০ কোটি টাকারও বেশি) দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে এই টিকার দামও কম হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। প্রতি ডোজ সর্বোচ্চ ৩ ডলার বা ২৫০ টাকা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই কোভ্যাক্স স্কিম এই ডোজগুলি সরবরাহ করা হবে বলেও সংস্থার তরফে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বলা হয়েছে, মূলত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স ইনকর্পোরেশনের টিকা দ্বিগুণ উত্‍পাদনের জন্য তারা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেট্‌স ফাউন্ডেশন ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন্‌স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন্‌স বা গ্যাভি-‌র কাছে পাওয়া বাড়তি ১৫ কোটি ডলার কাজে লাগাচ্ছে। তবে এই বাড়তি টিকা উত্‍পাদনের পরিকল্পনার সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জড়িত বলে জানা গেছে। হু ও গ্যাভি-‌র লক্ষ্য ২০২১ সালের শেষে কোভিডের টিকার ২০০ কোটিরও বেশি ডোজ তৈরি করে ফেলা। এই পরিকল্পনায় জড়িত রয়েছে বিশ্বের ১৫০-‌র বেশি দেশ। তবে এখানে দেখা মেলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের।

তবে সিরাম ইনস্টিটিউট মার্কিন সংস্থা কোডাজেনিক্স ইনকর্পোরেশনের সম্ভাব্য টিকার উত্‍পাদন শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা গেছে। এই টিকার মানবদেহে পরীক্ষার প্রথম পর্ব এ বছরের শেষ দিকেই শুরু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আগামী বছর দেশের সকলের কাছে কোভিডের টিকা পৌঁছে দিতে ৮০ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলেও জানা যায়। এদিন সেরাম ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের বিবৃতি থেকে জানা যায় যে এই পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সরকার, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির উচিত এক সঙ্গে কাজ করা। যাতে কেউই কোভিডের টিকা থেকে বঞ্চিত হতে না পারে।

তবে তাঁদের লক্ষ্য যে টিকা তৈরি হবে, তা যেন বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছোয় এবং সকলকে প্রতিরোধ-‌ক্ষমতা জুগিয়ে অতিমারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। গেট্‌স ফাউন্ডেশন, গ্যাভি ও সিরাম-‌এর উদ্যোগেরও এই একই লক্ষ্য বলে জানা গেছে। তাদের কথায়, আর্থিক সহায়তার টাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স-‌এর টিকার উত্‍পাদন শুরু করবে সিরাম ইনস্টটিউট। তবে সেক্ষেত্রে পুরো লাইসেন্স এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্‌-‌গুণমানের শর্ত পূরণের পরেই এগুলি সংগ্রহ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!