‘তৃণমূল পার্টিটাই দালাল’ মন্তব্য রাহুলের, জোর বিতর্ক রাজ্য রাজনীতিতে রাজ্য December 28, 2018 এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিটাকেই ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। বললেন, “গোটা তৃণমূলটাই তো দালাল। আবার দালাল ঢুকবে না কোথা থেকে। রাজ্যে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত তো শুধু দালালরাজই চলছে। সেখানে দালাল ঢুকবে না মুখ্যমন্ত্রী বললে হবে!” পাশাপাশি আরো জানান,মুখ্যমন্ত্রী দালালদের নিয়েই সরকার চালাচ্ছেন৷ প্রকাশ্যে দালালদের টাকা খাওয়াচ্ছেন। এঁরাই সব রাজ্যের মন্ত্রীত্বের দায়িত্বে রয়েছেন। আর মুখে শুধু বড় বড় কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রসঙ্গত, গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,”রাজ্যে ফড়ে ও দালালরাজ আমি রুখবই। যাতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে।” এই বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়েই উল্টে শাসকদলকেই ‘দালাল’ বলে আক্রমণ করলেন তিনি। পাশাপাশি আরো জানালেন, তৃণমূলের স্বরূপ গত সাত বছরে রাজ্যবাসী হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। আর সেজন্যে লোকসভা ভোটের আগে দলীয় ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার প্রয়াস করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেজন্যেই বিরোধীরা চোর,দালাল,বোমা শিল্পের সঙ্গে জড়িত এসব মিথ্যে রটনা করছে। এবং নিজেকে সবথেকে ‘সাধু’ প্রমাণ করতে লেগে পড়েছেন। অথচ তাঁর আমলেই রাজ্যে দালালচক্র রমরমিয়ে চলছে৷ আর তিনিই সেটাকে প্রশয় দিচ্ছেন। এরপর চিটফান্ডের কান্ডের প্রসঙ্গ তুলে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই সারদা-নারদার মতো দুর্নীতিমূলক চিটফান্ড সামনে এসেছে। নারদায় টাকা জালিয়াতিতে প্রশ্রয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাঁর দোষ এক্ষেত্রে কোনো অংশে কম নয়,এমনটাই অভিযোগে জানালেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছিলেন যে,আজকাল রাজ্যে বোমা তৈরিটা প্রায় কুটির শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সেসব উদ্ধারকার্য কতোদূর এগোলো? মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকারোক্তিকেই হাতিয়ার বানিয়ে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করলেন এই বিজেপি নেতা। বললেন,”আমরা এতদিন যেটা বলছিলাম পশ্চিমবঙ্গে সব শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। একমাত্র রমরমিয়ে চলছে বোমা শিল্প। আজকে মুখ্যমন্ত্রী সেই সত্যটাকে বাধ্য হয়ে স্বীকার করলেন।” পাশাপাশি আরো জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন,সাত বছর রাজ্য শাসন করে বোমাশিল্পকেই প্রশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রুখতে যে তিনি কতোটা ব্যর্থ সেটা শাসকদলের হিংসার রাজনীতিই স্পষ্ট প্রমাণ দেয়। এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন,যে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বোমাশিল্পকে রুখতে পারে না,যার শাসনে রাজ্যে বোমাশিল্পই প্রধান হয়,তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার আছে কি? তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দিয়ে দিলেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তিকে কাজে লাগিয়েই জনসংযোগ তৈরি করা যাবে,এমনটাই জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক। রাহুল সিনহার আক্রমণের পাল্টা জবাব এখনো পাওয়া যায়নি তৃণমূলের তরফ থেকে। তবে লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ মুখ বুঝে সহ্য করবে না শাসকদল। এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -