এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > হাসপাতালে বেড অমিল! সাবধানতা অবলম্বন করে বাড়িতেই করোনা রুগীর চিকিৎসার জন্য কিছু সহজ টিপস্

হাসপাতালে বেড অমিল! সাবধানতা অবলম্বন করে বাড়িতেই করোনা রুগীর চিকিৎসার জন্য কিছু সহজ টিপস্


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যতদিন যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে। একদিকে যেখানে ভাইরাসের ভ্যাকসিন কবে পাওয়া যাবে সেই নিয়ে চলছে লড়াই, অপরদিকে মানুষের মধ্যে সতর্কতা ক্রমশ শিথিল হয়ে আসছে।এমন পরিস্থিতিতে দিনে দিনে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। অথচ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অপ্রতুল হয়ে পড়েছে বেড। যেখানে রোগীকে স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। সঙ্গে তালমিলিয়ে ক্রমশ বাড়ছে আম্বুলান্স এর ভাড়া।

এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার একটাই পরামর্শ দিচ্ছেন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করার। যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য আপনি পেতে পারেন দূরাভাষ এর মাধ্যমে। তাই ভয় না পেয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করাই এখন সব থেকে নিরাপদ বলে মনে করছেন অনেকে। তবে কীভাবে করবেন এই চিকিৎসা? নিয়মই বা কি কি অবলম্বন করতে হবে? কিভাবে পালন করবেন সাবধানতাম আসুন জেনে নিই

এখন নিউক্লিয়ার সোসাইটি তে বড় বাড়ি বা আলাদা থাকার জায়গা মানুষের কাছে বাহুল্যতা। তাই কোয়ারান্টিনে থাকতে প্রয়োজন যে ব্যবস্থার, সেই ব্যবস্থা খুব কম বাড়িতেই পাওয়া যাবে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। তবে সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে করবেন নিজেদের চিকিৎসা বা দেখাশোনা তা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন-

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রথমত:- কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস কে আলাদা করে দিতে হবে। যাতে অন্য কেউ সেগুলিকে ব্যবহার না করে।

দ্বিতীয়ত:- ব্যবহার্য জিনিস যেমন জামাকাপড় প্রতিদিন গরম জলে ভিজিয়ে কাচতে হবে। বা খাওয়ার থালা বাটি গরম জলে সাবান দিয়ে ধুতে হবে। যাতে ভাইরাস নষ্ট হয়ে যায়।

তৃতীয়ত:- খাবারে রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, প্রোটিন এবং ভিটামিন সি, যাতে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোনো রকম বাধা না পড়ে।

 

চতুর্থত:- খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় পদার্থ যেমন ফলের রস, জল, স্যুপ, এমনকি টক দই বা ঘোল খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায় বলে মনে করেন ডাক্তাররা।

পঞ্চমত:- একা একা থাকলেও ঘুম যাতে ঠিকমতো হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ঘুমের খুবই প্রয়োজন।

ষষ্ঠত :- যাদের সুগার বা প্রেসার এই ধরনের সমস্যা আছে তারা যাতে প্রতিদিন নিয়মিত চেকআপ করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

সপ্তমতঃ:- পারলে দেখে নিতে পারেন প্রতিদিনের দেহের অক্সিজেনের মাত্রা। যন্ত্র না থাকলে লম্বা শ্বাস নিয়ে তা ধরে রাখার চেষ্টা করুন ২০ সেকেন্ড।

এছাড়া নিয়ম করে কিছুক্ষণ অন্তর ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, থুতু যেখানে সেখানে না ফেলা, আলাদা শৌচাগার বা বাথরুম ব্যবহার করার মত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনরকম সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন চিকিৎসককে।

শুধু এখানেই শেষ নয়, যিনি সেবা করছেন অসুস্থ মানুষটির, তাঁকেও নিতে হবে কিছু অতিরিক্ত সাবধানতা। সেক্ষেত্রে রোগীর বেশি কাছে না যাওয়া, সবসময় মাস্ক পরে থাকা বা হাত ধোয়ার মত নিয়ম গুলো পালন করতে হবে। কারণ আপনি সুরক্ষিত থাকলে তবেই খেয়াল রাখতে পারবেন আপনার প্রিয়জনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!