এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অত্যন্ত কম খরচে ১০০ কোটি কোভিড ভ্যাক্সিন ডোজ বানাতে নতুন টেকনোলজির পথে ভারতের কোম্পানি!

অত্যন্ত কম খরচে ১০০ কোটি কোভিড ভ্যাক্সিন ডোজ বানাতে নতুন টেকনোলজির পথে ভারতের কোম্পানি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরীর প্রথমে সামনে এসেছিল একাধিক ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের খবর। যার মধ্যে থেকে সবথেকে আশাজনকভাবে সামনে এসেছিল আমেরিকার অক্সফোর্ডের একটি ভ্যাকসিনের কথা। যার শেষ পর্ব নিয়ে বেশ উৎসাহিত ছিল দেশবাসী। মনে করা হচ্ছিল এই ভ্যাকসিনটিই হয়ত হু অনুমোদিত সর্বপ্রথম করোনা ভ্যাকসিন হতে পারে। তবে সেইসঙ্গে আশাহত করে খবর এসেছিল ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া একজন স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কথা। যার পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।

তবে কিছুদিন আগে পুনরায় সেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ভারতে এই ভ্যাকসিনটি মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন পশুর দেহেও ভাল ফলাফল করেছে বলে জানা যায় এবং সেইসঙ্গে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল মানব দেহেও ভালো ভালো প্রভাব ফেলেছিল। তবে অন্যদিকে ভারত তার নিজস্ব ভ্যাকসিন নিয়েও বেশ আশাবাদী রয়েছে। ইতিমধ্যেই একেবারে দেশীয় পদ্ধতিতে করোনা টেস্টিং কিট আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিয়েছে ভারতের গবেষকরা। সেই সঙ্গে এবার মিসৌরি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন একটি নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই আমেরিকার শুরু হয়ে গেছে তার প্রথম পর্বের ট্রায়াল। জানা গেছে ভ্যাকসিনটি ছাড়পত্র পেলে সেটির ১০০ কোটি ডোজ তৈরি করে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যোগান দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বায়োটেক। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ছাড়াও আমেরিকা, জাপান এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে তারা। যদি এই ট্রায়াল প্রথম ধাপে ভালো ফলাফল করে তবে ভারতে এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা যায়।

তবে ইতিমধ্যেই দেশে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়ে গেছে বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে তো অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনেরও ট্রায়াল চলছে। তাই কেন্দ্র মনে করেছে এ বছরের শেষের দিকেই হয়তো কোন সুখবর দেয়া যেতে পারে। তবে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে যে ভ্যাকসিনই আসুক না কেন, সেই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের কাছে কতটা সহজলভ্য হবে বা তার বন্টন কতটা সহজ ভাবে করা যাবে? এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, আমেরিকাতে ট্রায়াল চালানো নতুন ভ্যাকসিনটি শরীরে প্রবেশ করানোর জন্য নাকের সাহায্য নেওয়া হবে অর্থাৎ নাকের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যার ফলে ইনজেকশনসহ অনেক কিছুরই খরচ কমে যাবে। আর ডাক্তারের কথায় নাক দিয়ে নেওয়া হলে ভ্যাকসিনের একটি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় বলেও মনে করা হয়। এদিন অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানা যায়, ইতিমধ্যেই ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে বাছাই করে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করা হয়ে গেছে। এছাড়াও এই ফলাফল ভালো হলেও অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে সরকারি তরফে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!