এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদকে “বিপন্মুক্ত” করতে এবার পাল্টা চাপের খেলা শুরু বামফ্রন্টের

রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদকে “বিপন্মুক্ত” করতে এবার পাল্টা চাপের খেলা শুরু বামফ্রন্টের

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হাতে হাত ধরে লড়ার ব্যাপারে প্রথম থেকে সওয়াল করে আসলেও রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে জেদাজেদির কারণে জোট নিয়ে প্রবল জট তৈরি হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস ও বামেদের আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মধ্যে। তবে এই ব্যাপারে কংগ্রেসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মরিয়া বামেরা এবার কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনের মধ্যে দুটি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল।

সূত্রের খবর, মালদহ উত্তরে বিশ্বনাথ ঘোষ এবং জঙ্গিপুরে জুলফিকার আলী প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছে বামেরা। জানা গেছে, এই দুই কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ডালু খান চৌধুরীর পুত্র ঈসা খান চৌধুরী আর অন্যটিতে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাই এবার এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বামেরা। জানা গেছে, এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এক লিখিত বিবৃতিতে কংগ্রেসের দখলে থাকা দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা যে যার দখলে থাকা আসনে প্রার্থী দেবে না বলে প্রাথমিক শর্ত হলেও এই ব্যাপারে কংগ্রেসের দখলে থাকা 4 লোকসভা কেন্দ্র ছেড়ে বাকি সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানিয়ে দেয় বামেরা। আর এরপরই কংগ্রেসকে 24 ঘণ্টা সময় দিয়ে সিপিএমের জেতা দুটি আসন থেকে যাতে তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেন, তার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন।

কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের এই প্রস্তাবকে নস্যাৎ করে এদিন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় গতকাল সন্ধ্যায় এই ব্যাপারে নিজেদের শরিক দলের সঙ্গে কথা বলে মালদহ উত্তর ও জঙ্গিপুরে বাম প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ধাপে ধাপে কংগ্রেসের ওপর চাপ বারিয়ে দফায় দফায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পেছনে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর অন্য এক রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে।

কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে তারা কংগ্রেসের সাথে জোটের ব্যাপারে আন্তরিক থাকলেও কংগ্রেসই বোঝাপড়াতে এগিয়ে আসছে না বলে সাধারণের কাছে শেষ পর্যন্ত এই বিষয়টি তুলে ধরতে পারে বামেরা। সব মিলিয়ে এখন শেষ পর্যন্ত কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!