এবার বুদ্ধদেব ভট্ট্যাচার্যকে নিয়ে বড় ধাক্কা সিপিআইএম-এর রাজ্য January 11, 2018 আগামীদিনে সিপিএমের সমনে বেশ বড়সড় ক্ষতির আশঙ্ক, ধীরে ধীরে নিস্ক্রিয় হতে চলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘ দিন ধরে বয়স জনিত শারিরীক সমস্যার কারনে দল থেকে প্রায় সরে এসেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই গত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবরকম পদ থেকে তিনি অবসর নেন। এখন শারীরিক অবস্থার কারনে রাজ্য নেতৃত্বের শীর্ষ পদ থেকেও ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান তাঁকে যেন সম্পাদকমন্ডলী সহ রাজ্য কমিটির কোনও পদে আর সক্রিয় হিসাবে না বিবেচনা করা হয়। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর আর্জি আলিমুদ্দিন স্টিটে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে শীর্ষ নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সহ আলিমুদ্দিনের অন্যান্য কর্তারাও মনে করছেন অনিচ্ছা সত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থার কারনে দল তাঁর বার্তা মেনে নিতে বাধ্য হবে। তবে দল তাঁকে সম্পুর্ণ রূপে ছুটি দিতে নারাজ, দল তাঁকে অভিভাবক রূপে রাজ্যকমিটিতে স্থায়ী ভাবে রাখার ক্ষেত্রে আশাবাদী। পর্টি সুত্রে খবর ইতিমধ্যেই শীর্ষ নেতারা সম্পাদকমন্ডলী গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন, তবে রাজ্য কমিটি নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা আপাতত হয়নি। তবে বার্ধক্য জনিত কারনে দলে নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার মধ্যে বুদ্ধদেব বাবু একা নন সাথে আছেন গৌতম দেব সহ দীপক সরকার, দীপক দাশগুপ্ত, শ্যামল চক্রবর্তী এবং নৃপেন চৌধুরী। দলের শীর্ষ নেতাদের মত বয়সেে কারনে গৌতম দেবকেও রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী সহ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও অব্যহতি দিতে হবে তবে রাজ্য কমিটিতে তাঁর থেকে যাওয়া নিয়ে দল আশাবাদী। যদিও বয়সের হিসাবে বর্তমানে প্রথম স্থানে আছেন বিমান বসু , তাঁকে নিয়ে অবস্য দলের কোন ভাবনাচিন্তাই নেই বলে দলীয় সুত্রে খবর। ৮০ এর কোঠায় থাকা এই প্রবীন নেতা এখনও ময়দানে সর্বশক্তি দিয়ে ব্যাট করে যাচ্ছেন। তাঁর সক্রিয়তা যে কোন তরুন নেতাকে লজ্জা দেবে। দলে যে কোন কর্মসূচিতেই তাঁর উপস্থিতি থাকবেই, পাশাপশি চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি বামেদের ঐক্য বজায় রেখে যাচ্ছেন। তবে রাকনৈতিক মহলে মত বুদ্ধদেববাবু সরে যাওয়ার পরে বিমান বসুর উপরেও পদ ছাড়ার চাপ আস্তে বাধ্য। তবে যেহেতু বিমানবাবু পলিটব্যুরোর সদস্য তাই তিনি রাজ্যনেতৃত্বেও থাকবেন বলে দলের মত। ২০১৫ সলে বুদ্ধদেব বাবু দলের যাবতীয় পদ থেকে অব্যাহতি নেন। সেইসময় তিনি বিষয়টি নিয়ে সাধারন সম্পাদক প্রকাশ কারাত এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আর্জি জানান এবং তাঁর ইচ্ছা মঞ্জুর হয়। তাঁকে কেন্দ্রীয় পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে কোন প্রকারে ছাড়তে চাননি। তাঁর পড়াশোনার প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং তিনি সুবক্তা। সেই কারনে তাঁকে দলের প্রশাসনিক দিকটা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। আজকাল তিনি বেশির ভাগ সময়েই দলের মুখপত্রের প্রবন্ধ রচনা করতেন। কিন্তু শারিরীক কারনে সে কাজেও বাধা পড়েছে মাস দুই ধরে বলে জানা যাচ্ছে। মাঝের কিছুটা সময়ে তো তিনি ঘর থেকেই বাইরেই আসতে পারতেন না। একসময় এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সাথে দেখা করে আসেন। তবে আজকাল তিনি একটু সুস্থ, তবে তাঁর কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়নি এখনও তাই তিনি এখন দলের কোন পদে আর নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাইছেন না। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীতে। বুদ্ধদেব বাবু সহ একঝাঁক শীর্ষ নেতা বয়সের ভারে দায়িত্ত্ব থেকে সরে গেলে বাম রাজনীতির কি ভবিতব্য হবে সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -