এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বোমার আঘাতে খুন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী, অভিযোগের তীর কংগ্রেস-সিপিএমের দিকে, পাল্টা আঙুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে

বোমার আঘাতে খুন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী, অভিযোগের তীর কংগ্রেস-সিপিএমের দিকে, পাল্টা আঙুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে

তৃণমূল বনাম বিরোধীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ালো জঙ্গলি থানার ঘোষপাড়ায়। শাসকদলের বিগ্রেড প্রস্তুতি সভার চার ঘন্টার আগেই খুন হতে হল এক তৃণমূল কর্মীকে। বাড়ি থেকে বের হতেই তাকে বোমা মেরে খুন করেছে কংগ্রেস ও সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে জেলা তৃণমূল।

তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেই কংগ্রেস,সিপিএম পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে,তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই প্রাণ গিয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর। তবে মৃতের পরিবারের লোকজন এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই জানালেন জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। তবে এলাকায় পুলিশ নজরদারি চালু থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানালেন তিনি।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হামিদুল মন্ডল (২১)। ঘোষপাড়ার এই বাসিন্দা পেশায় খেতমজুর ছিলেন।এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবেই পরিচিতি ছিল তাঁর। ঘটনার দিন দুপুর দুটো নাগাদ স্থানীয় জোতারাম এলাকায় পথসভা ও মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। সেই মিছিলে লোক জমায়েত করার জন্যেই সকাল ১০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হামিদুল। কিন্তু পাড়ার মোড় পর্যন্ত যেতে না যেতেই গুলিবিদ্ধ হতে হল তাকে।

হামিদুল রাস্তায় পড়ে যেতেই শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। এরপর আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। স্থানীয়রা ভয়ে এদিক ওদিক ছুটি পালায়। এদিকে হামিদুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে হামিদুলের মা এবং স্ত্রী। কয়েকজন গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক বিবেচনা করে তাকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় হামিদুলকে। বিগ্রেড সভার প্রস্তুতির দিনই তৃণমূলের এক সক্রিয় সদস্যের মৃত্যুর খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। জোতারামে আয়োজিত পথসভাতেই শোক পালন করেন তাঁরা। অভিযোগে সরব হয়ে তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি অশোক দাস জানান, এই এলাকায় কংগ্রেস সিপিএমের কোনো সংগঠন নেই বলেই সন্ত্রর সৃষ্টি করে তৃণমূলের শক্তিক্ষয় করার চেষ্টা করছে তাঁরা। সেজন্যেই এদিন দুষ্কৃতিদের মদত দিয়ে তৃণমূলের এক সক্রিয় কর্মীকে খুন করতে বাধলো না বিরোধীদের। ঘটনাটি সবিস্তারে জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহনমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে এ অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। বক্তব্যে জানালেন,জলঙ্গি বরাবরই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত। আর এদিনের দলীয় কর্মী খুনের নেপথ্যে এই গোষ্ঠীকোন্দলই দায়ী। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য একই। এলাকায় কোনো হিংসাত্মক ঘটনা হলেই তৃণমূল নেতারা নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ধামাচাপা দিতেই অভিযোগের আঙুল তোলে বিরোধীদের দিকে।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ জানালেন,মৃতের পরিবারের লোকরা যে ক’জনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছেন, তাদের মধ্যে এক পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও রয়েছেন। মৃতের মায়ের বক্তব্য,সেদিন যারা হামিদুলের উপর হামলা করেছিল তারা নদীর ফেরিঘাট চালায়। ওরা আসলে তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ দুষ্কৃতি। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করেছে,এমনটাই অভিযোগ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এসব দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হবে বলেই জানাল মৃতের পরিবার। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি কারো। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন চর এলাকায় আত্মগোপন করেছে দুষ্কৃতিরা,এমনটাই অনুমান পুলিশের। গোটা ঘটনায় থমথমে অবস্থায় এলাকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!