এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম-কং জোট নীচুতলায় হওয়া কার্যত অসম্ভব? বনধের ফলাফলেই চোখ কুঁচকে যাচ্ছে শীর্ষ নেতাদের?

বাম-কং জোট নীচুতলায় হওয়া কার্যত অসম্ভব? বনধের ফলাফলেই চোখ কুঁচকে যাচ্ছে শীর্ষ নেতাদের?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সিপিএম কংগ্রেস নির্বাচনের আগে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা বললেও ভিতরে যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব কাজ করছে সেটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের কথায়, বস্তুত, বৃহস্পতিবারের ধর্মঘটই সেই ‘বিরোধ’ স্পষ্ট করে দিয়েছে। যেখানে কয়েকটি জায়গায় বাম-কংগ্রেস এক সঙ্গে মিছিল করলেও জেলার অধিকাংশ জায়গাতেই একক ভাবেই মিছিল করতে দেখা গেছে বাম এবং কংগ্রেসকে।

অন্যদিকে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় নিশ্চিত হলেও মুর্শিদাবাদে তা নিয়ে আবছা এক আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটে শাসকদলকে হারাতে জোট করেছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু মুর্শিদাবাদে একসঙ্গে লড়াই হয়নি।

আর সেই প্রসঙ্গে জেলার প্রবীণ এক বামপন্থী নেতা বলেন, ‘‘বন্ধুত্বপূর্ণ আবহে লড়াই হলেও হাতে ধরা পড়েনি কাস্তে-হাতুড়ি!’’ আর তাই এই পরিস্থিতিতে তা হলে কি আগামী বিধানসভা ভোটেও তার ছায়া পড়তে চলেছে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামির মোল্লা জানান, নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি এখনও ঠিক হয়নি।

তবে তাঁর মতে, ধর্মনিরপেক্ষ জোটের স্বার্থে ওই এলাকায় কোনো আসন শক্তিশালী দলকে ছাড়তে হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে সহযোগী দলকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি। তবেই উদ্দেশ্য সফল হবে বলেও জানান তিনি। যদিও জানা গেছে, এখনই বাম কংগ্রেসের এই অবস্থানকে কোনভাবেই জোট বলতে রাজি নন বাম নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এক জেলা নেতার কথায়, কতগুলি কর্মসূচিতে একসঙ্গে কাজ করা আর জোট হয়ে যাওয়া বিষয়টা এক নয় বলেই মনে করছেন তিনি। এক্ষেত্রে বড়জোড় আসন ভাগাভাগি হবে বলেও বলতে শোনা গেছে তাঁকে। তবে কংগ্রেস নেতা বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী অবশ্য এই বিষয়ে আশাবাদী।

তাঁর কথায়, তাঁর চোখে যেটুকু ধরা পড়েছে, তাতে বাংলা জুড়ে বাম কংগ্রেস কর্মীরা ধর্মঘটের পথে নেমেছে এটা তাঁর জানা নেই। সেইসঙ্গে কোথাও তাঁর মনোমালিন্য নজরে পড়েনি। তবে সময় গেলে এই জোট পোক্ত হবে বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, কে কোথায় কোন আসনে লড়াই করবে সেটা রাজ্য থেকেই ঠিক হবে।

যদিও দেখতে গেলে সেখানে গত ভোটের ফলাফল বামফ্রন্ট ৪ কংগ্রেস ১৪ ছিল। পরে কংগ্রেসের ৫ জন এবং বামেদের দুই বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায়, তাদের বিধায়ক সংখ্যা চার থেকে বেড়ে এগারো জন হয়ে যায়। অন্যদিকে কংগ্রেস আর বামদলগুলিও ভাঙতে থাকে। তাঁদের মতে, পাঁচ বছর পরে আবার সামনে নির্বাচন।

কিন্তু জোটের প্রশ্নে বাম-কংগ্রেস উভয় শিবিরেরই নিচুতলার কর্মীরা মন স্থির করতে পারছে না। এর কারণ স্বরূপ তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সিপিএম-সহ শরিক দলগুলির মেজ-সেজ নেতাদের অনেকেই এই জোট চান না বলেই মত দিয়েছেন। সেইসঙ্গে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও অনীহা রয়েছে। আর সেই সঙ্গে কংগ্রেসেও একই অবস্থা বলেই জানা গেছে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!