এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দশমীর রাতেই আবারো মিলল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ! আঙুল উঠছে সেই তৃণমূলের দিকে, বাড়ছে উত্তাপ

দশমীর রাতেই আবারো মিলল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ! আঙুল উঠছে সেই তৃণমূলের দিকে, বাড়ছে উত্তাপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব সবে শেষ হয়েছে। কিন্তু দশমীর রাতেই আবারও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল রাজ্যে। একের পর এক বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে রীতিমতো উত্তাল বাংলার রাজনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেই হেমতাবাদের এক বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল, যা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনার পারদ চলেছিল গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু আরো একবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে দশমীর রাতে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো, আর তাই নিয়েই সরব হয়েছে বিজেপি শিবির।

যথারীতি গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে, এই হত্যার পেছনে তৃণমূলের ষড়যন্ত্রের কথা। এক্ষেত্রে এক পুলিশ আধিকারিকের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ তাঁদের মতে, তৃণমূল পুলিশের সহযোগে এই বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে। যদিও বিরোধী অভিযোগকে কোনমতেই পাত্তা দিচ্ছেনা শাসক দল বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগাযোগ নেই। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে মোহনপুরের বাসিন্দা ওই বিজেপি কর্মীর নাম বাচ্চু।

কদিন ধরেই তিনি এলাকাছাড়া ছিলেন বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বিজেপি নেতা, কর্মীরা। পুলিশকে দেহ উদ্ধারে  বাধা প্রদান করেন তাঁরা বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সাথে সাথেই বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গেছে বাচ্চুর দেহ সামনে রেখে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তীব্র হয় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশি আশ্বাসের উপর নির্ভর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে জেলার বিজেপি সভাপতি সুমিত কুমার দাস দাবী করেছেন, রাজনৈতিক কারণেই পরিকল্পনামাফিক বাচ্চুকে ফোন করে ডেকে নেয় তৃণমূল। এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পেছনে হাত রয়েছে মোহনপুরের আইসির। সেই কারণে তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে গেরুয়া শিবির থেকে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কোনরকম যোগাযোগ নেই।

তিনি পাল্টা জানিয়েছেন, রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এবং সেই সূত্রে বিজেপি তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে। প্রসঙ্গত, গোঘাটের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ কিছুদিন আগেই উদ্ধার হয়েছিল। সে সময়েও এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের নাম উঠে এসেছে। অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীদের কিছু দিন অন্তর অন্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে আরও বেশি চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রীতিমতো ভেঙে পড়ছে।

সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করে একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের একের পর এক সমর্থক কর্মী হত্যা হলেই নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের। যার ফলে তীব্র অস্বস্তির মুখে রাজ্যের শাসক দল। তবে মোহনপুরের ঘটনা নিয়ে বাংলার প্রধান দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক পারদ যে চড়ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে জানা গেছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশের হাতে কেউ ধরা পড়েনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!