এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনেক নেতা-কর্মীই দিনে তৃণমূল আর রাত্রে বিজেপি করছেন? কার্যত স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল সাংসদ

অনেক নেতা-কর্মীই দিনে তৃণমূল আর রাত্রে বিজেপি করছেন? কার্যত স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল সাংসদ


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর তার মধ্যে যারা নজর কেড়েছিলেন, এদের মধ্যেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলাদা করে বলতেই হয়। বস্তুত, কুকথা বা দলের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার নিয়েও বহু বার প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তাঁর সম্পর্কে এই সব অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ওর মুখের জোর নিয়ে অনেকে কথা বলেন। আসলে উকিলদের মুখের জোর থাকতে হয়। নইলে কোর্টে শোনা যায় না।’

তবে কিছুদিন আগে নাম না করে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।” বস্তুত, এরপর একজন মন্ত্রীকে জনসমক্ষে কি বলতে হয় সেটা তাঁর আদৌ জানা আছে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল অনেক বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দলে থাকলে কাকে বাজারে দেখা যাবে, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু করেছিলেন অনেক কূটনৈতিক। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া সফরে হেলিকপ্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ নিতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার পর আরো জল্পনা শুরু হয় যে তিনি তাহলে দিদির আরো কাছের মানুষ হয়ে উঠছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এরপর শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়ার পর থেকে তিনি আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেখানে তাঁকে আবারও কটাক্ষ করতে শোনা গেছে। এদিন দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁরা দিনের বেলা তৃণমূল কংগ্রেস আর রাতে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করবে তাঁদের ছাড় না দেওয়ার জন্য।

এদিন এই কথা বলে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিতে দেখা গেছে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে বেশ কিছু দলের নেতা কর্মীর ওপর নজর রাখা হচ্ছিল বলে জানা যায়। সেখানে কারা কারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগ রাখছেন সেই বিষয়ে জানার কথা বলা হয়েছিল।

জানা গেছে, রবিবার শ্রীরামপুরের গাঁধী ময়দানে তৃণমূলের কর্মী সভায় কারও নাম উল্লেখ না করেই এমন উল্লেখ্য করতে দেখা গেছে তাঁকে। যদিও রবিবার তিনি যা যা বলেছেন তার অনেক কিছুকেই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন তিনি বলেন, ‘‘অনেকে প্রশ্ন করছে, অমুক চলে গিয়েছে তমুক চলে গিয়েছে। যাক না। কিচ্ছু এসে যায় না।”

তাঁর কথায়, “শুধু নজর রাখুন, যাঁরা দলের মধ্যে থেকে দিনের বেলা তৃণমূল আর রাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে তাঁদের ছাড়বেন না। গোপনে যাঁরা আঁতাত করবে তাঁদের ছাড়বেন না। একটাই ফ্লেক্স থাকবে, সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি আর আমরা দিদির সৈনিক।’’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে বিধানসভার আগে বিজেপি এভাবে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। সেখানে বিজেপি দাবি করেছে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেলে তৃণমূল দল থাকবে না। তাই তৃণমূলের কাছে একুশ সালের নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!