এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে দলবদলের প্রস্তাব এলেও যাইনি’ দাবি দীপা দাশমুন্সির

‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে দলবদলের প্রস্তাব এলেও যাইনি’ দাবি দীপা দাশমুন্সির


সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দীপা দাশমুন্সির নাম ঘোষণা হতেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। রায়গঞ্জের এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দীপার নাম ঘোষণা হওয়ায় কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে বামেরা।

কারণ এই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস আসনরফা হোক এমনটাই আশা ছিল লালশিবির কর্তাদের।তাছাড়া,এই আসনের সঙ্গে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বলে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর স্ত্রী দীপাকে প্রার্থী করতে তৎপর হয়ে উঠেছিল। এবং অবশেষে দীপাই প্রার্থী হলেন।

প্রার্থী হয়ে দীপা নিজেও স্বীকার করেছেন,রায়গঞ্জে কংগ্রেসের যে একটি মজবুত সংগঠন রয়েছে,তা বিঘ্নিত হচ্ছিল বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার সমস্যার জন্যে। দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। তবে দীপা দাশমুন্সি এখান থেকে প্রার্থী হওয়ায় হাতশিবির হারানো মনোবল ফিরে পেয়েছে।

প্রার্থী হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে বসে দীপা দাশমুন্সি জানালেন,”বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আমার কাছে বার্তা এসেছিল। প্রিয়দা নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ আছে। তাই কংগ্রেস ছাড়ার কথা মাথায় আসেনি।” উল্লেখ্য,নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগেই মালদা কংগ্রেস শিবিরের হেভিওয়েট নেত্রী মৌসম নূর দলবদল করে তৃণমূলে গিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্ভবত লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার পর মৌসম নূরকেই খোঁচা মারলেন দীপা দাশমুন্সি,এমনটাই অভিমত বিশ্লেষকদের। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয়,বিজেপির তরফ থেকে তাকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিনা। জবাবে তিনি জানান,বিজেপির তরফ থেকে একটা পরোক্ষে প্রস্তসব এলেও প্রার্থী হওয়ার কথা পর্যন্ত পৌছাতে দেননি এই দুঁদে রাজনীতিক।

সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে নয়,রাজ্যের শাসকদল এবং প্রশাসন দুজনের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে। একদিকে তৃণমূলের সন্ত্রাস অন্যদিকে প্রশাসনের শাসকদলের প্রতি প্রচ্ছন্ন মদত-এই দুয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন বলেই ব্যাখ্যা করলেন দীপা। আরো জানালেন,রায়গঞ্জে কংগ্রেস একটি আবেগে পরিনত হয়েছে।

তিনি প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই জেলাবাসীদের থেকে অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছে। সকলে স্বস্তি পেয়েছে বলেই মন্তব্য করলেন তিনি। গতবার তিনি হারালেও এবছর তাকে নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস জয়ের আশা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই জানালেন দীপা। আর বাম-কংগ্রেস জোট ভেঙে গিয়ে ভালোই হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!