এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নভেম্বর বিপ্লবের ডাক শুভেন্দুর! সাবধান হয়ে যান মমতা, প্রবল খোঁচা বিজেপির!

নভেম্বর বিপ্লবের ডাক শুভেন্দুর! সাবধান হয়ে যান মমতা, প্রবল খোঁচা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে, আর সেই টাকা চুরি করে জেলে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। মানুষের টাকা মানুষকে না দিয়ে তা আত্মসাৎ করার কারণে তৃণমূলের চুরি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠানো হলেও, তা নিয়ে বঞ্চনা করেছে রাজ্য সরকার। তাই এবার রাজ্যের বঞ্চনার বিরুদ্ধে নভেম্বর বিপ্লবের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমরা ইতিহাসে বইয়ের পাতায় এই নভেম্বর বিপ্লবের কথা শুনেছি। কিন্তু বর্তমান রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। কি হবে চলতি মাসে, কেন এই নভেম্বর বিপ্লবের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা! তাহলে কি তিনি এই মাসেই সরকারের বিরুদ্ধে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে চলেছেন? শুভেন্দু অধিকারী এদিন বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নভেম্বর বিপ্লবের ব্যাখ্যা করে যে কথা বললেন, তাতে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের ভিত নড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নভেম্বর মাসের 29 তারিখ কলকাতায় সমস্ত বঞ্চিতদের নিয়ে সভা করার কথা জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে মেদিনীপুরের মানুষকে স্পেশাল ট্রেন করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এই কর্মসূচিকেই নভেম্বর বিপ্লব বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একাংশ বলছেন, শুভেন্দুবাবু কাটা দিয়ে কাটা তুলতে চাইছেন। রাজ্যের শাসক দল অভিযোগ করছে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি তাদের একশো দিনের টাকা দিচ্ছে না, তাই বাংলা বঞ্চিত। কিন্তু সেই টাকা চুরি করে হিসাব না দেওয়ার কারণেই যে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, তা রাজ্য সরকার বুঝেও বুঝতে চাইছে না। তাই রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই। ফলে সেই বিষয়টি গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরে আন্দোলনকে আরও চরমে পৌঁছে দিতেই চলতি মাসে বাংলার রাজধানী কলকাতায় বড় কর্মসূচি নিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এখন থেকেই বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে সাবধান হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের টাকা আসার পরেও রাজ্যের মানুষকে বঞ্চনা করেছে এই সরকার। ফলে সেই সমস্ত বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে চলতি মাসেই কলকাতায় সভা করবে বিজেপি। আর সেখানেই এই রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হবে যে, কেন তারা এত মানুষের টাকা লুট করেছে! ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করবেন, এই সভাকে বানচাল করার, অনুমতি না দেওয়ার। কিন্তু এসব করে আর যাই হোক, বিজেপির প্রতিবাদকে থামানো যাবে না। শুভেন্দু অধিকারী যে ডাক দিয়েছেন, যে আওয়াজ তিনি এদিন তুলেছেন, তা গোটা রাজ্যের মানুষের কথা। তাই কলকাতার এই আন্দোলন নিয়ে বড় বিপ্লব দেখবে রাজ্য। আর তাতেই কাবু হয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের দুর্নীতি, অত্যাচার, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা প্রতিমুহূর্তেই চলছে। তার বিরুদ্ধে যতটা লড়াই করা যায়, তার সবটাই দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। সামনে থেকে তৃণমূল সরকারের স্বেচ্ছা চারিতার মুখোশ তিনি খুলে দিচ্ছেন। তবে এমন একটা লড়াই কলকাতায় করতে হবে, যাতে এই তৃণমূল সরকার টের পায়, কত ধানে কত চাল। তাই সমস্ত বঞ্চিতদের নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগকে উড়িয়ে দিতেই এবার বড় কর্মসূচিতে রাজ্য বিজেপি। আর সেই কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেই নভেম্বর বিপ্লবের ডাক দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!