এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আরও বড় বিপদের মুখে তৃনমূল? চোরেদের লজ্জা নেই! ব্যাগ গোছানোর কথা বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!‌

আরও বড় বিপদের মুখে তৃনমূল? চোরেদের লজ্জা নেই! ব্যাগ গোছানোর কথা বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!‌


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা তৃণমূল দলটাই আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িত। যারা সততার প্রতীক বলে বড় বড় দাবি করতেন, তাদের দলের এই করুণ দশা দেখে ধিক্কার জানাচ্ছে বিরোধীরা। গোটা রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় কার্যত বিরক্ত। এমন একটাও দপ্তর নেই, যা দুর্নীতি থেকে মুক্ত। শিক্ষা দপ্তর থেকে শুরু করে খাদ্য দপ্তর জেলে। খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য দপ্তর জেলে যাবে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের জন্য আরও ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ শোনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এমন এক মন্তব্য করলেন, যাতে তৃণমূল তাদের একাধিক নেতাকে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আগামী দিনে কার ডাক আসতে চলেছে, কে আবার শ্রীঘরে যাবে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করতেই তিনি তৃণমূলকে ধুয়ে দিয়েছেন। শাসক দলকে এমনিতেই চোর বলে আখ্যায়িত করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন সেই স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই আরও একবার তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা চোর দল। এদের কোনো লজ্জা নেই। গোটা দলটাই দুর্নীতিতে জড়িত। প্রত্যেকটা দপ্তর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। অর্ধেক লোক জেলের ভেতরে চলে গিয়েছে, আর অর্ধেক লোক জেলে যাবে। তারা ব্যাগ গোছাচ্ছে।” বলা বাহুল্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের অনেক বিধায়ক জেলে রয়েছেন। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামী দিনে তাকে জেরা করে বড় কোনো তথ্য উঠে আসলে তৃণমূলের প্রথম সারির বড় মাথাও ফেঁসে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মনেও তৃণমূলের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই বিষয়েই আক্রমণ করতে গিয়ে একেবারে তৃণমূলকে জর্জরিত করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির দাবি, শুভেন্দুবাবু একদম ঠিক কথাই বলেছেন। সততার প্রতীক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে ফলাও করে প্রচার করার চেষ্টা করেন। তার দলের অনেক নেতারা বড় বড় দাবি করেন যে, তারা নাকি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন! কিন্তু এই দুর্নীতির কারণেই একের পর এক মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। তারপরেও তৃণমূলের লজ্জা হয় না। নির্লজ্জ এবং দু কান কাটা রাজনৈতিক দল হলে যা হয়, তৃণমূলের অবস্থাও তাই। চুরি করা ছাড়া তাদের ডিকশনারিতে আর কোনো ভালো কাজের কথা উল্লেখ নেই। তবে চুরির দায়ে জেলে যাওয়ার পালা সবে শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শিক্ষা এবং খাদ্য সবে জেলে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরে যে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে, তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি করছেন বিরোধী দলনেতা। তাই এই পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্যের সরকার যে দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই শুভেন্দুবাবুর। তাই তিনি এতটাই নিশ্চিত হয়ে অর্ধেকমন্ত্রী জেলে গিয়েছেন, বাকিরাও জেলে যাবেন বলে দাবি করে বসলেন। আর বাস্তবে যদি শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য সত্যি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তৃণমূলের কপালে বড় দুর্ভোগ রয়েছে। ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে যে অব্যবস্থা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার জন্য তাকে বড় মাশুল দিতে হবে। আগামী দিনে তৃণমূল দলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকটা ঠগ বাঁচতে গা উজার হয়ে যাবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!