দিল্লীর কৃষি আন্দোলনের সমর্থনে বিশাল কর্মসূচী, চাপের মুখে কি গেরুয়া শিবির? কলকাতা বিজেপি রাজ্য January 8, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লিতে এ যাবতকালের সবথেকে বড় ঘটনা হল দিল্লীর রাজপথে চলা কৃষক আন্দোলন। দিল্লি হরিয়ানা সিংঘু সীমান্তসহ দিল্লীর বিভিন্ন সীমান্তে চলছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে কৃষকরা। কৃষকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতার সুর আরো কয়েক ধাপ চড়িয়েছে দেশের বিরোধী শিবিরগুলি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়েও যেভাবে কৃষকরা লড়াই জারী রেখেছেন মোদী সরকারের আইনের বিরুদ্ধে, স্বাভাবিকভাবেই তা কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এবার দিল্লি ছাড়িয়ে কৃষক আন্দোলনের আঁচ এসে লাগলো এ রাজ্যেও। সূত্রের খবর, এবার পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরাও দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে লাগাতার বিক্ষোভ, প্রতিবাদ কর্মসূচী চালাবেন। জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যের অখিল ভারতীয় কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। আগামী 9 জানুয়ারি থেকে শুরু হবে লাগাতার কর্মসূচি। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করতে এ রাজ্যের সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আপাতত আগামী কুড়ি থেকে 22 শে জানুয়ারি কলকাতার রানী রাসমণি রোডে তিনদিনের অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চলেছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। 23 শে জানুয়ারি পালন করা হবে রাজ্যজুড়ে আজাদ হিন্দ কৃষক দিবস এবং 26 শে জানুয়ারি পালন হবে কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবস। সূত্রের খবর, ঐদিন এই রাজ্যের জেলায় জেলায় ট্রাক্টর মিছিল করবেন কৃষকেরা। এবং আগামী 13 জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র অর্থাৎ জেলায় জেলায় কৃষি আইনের কপি পোড়ানো হবে। স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যদি এখানকার কৃষকেরাও এবার আন্দোলন শুরু করে, তা কিন্তু এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে যথারীতি চাপের মুখে ফেলবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তৎপরতা। রাজ্যের শাসক দলকে হটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। আর তাই দিল্লির ছোঁয়া যদি পশ্চিমবঙ্গে লাগে, তা কিন্তু মোটেই সুখকর হবে না গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। আপনার মতামত জানান -