এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লির মাটিতে চরম অসভ্যতা তৃণমূলের? বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ পুলিশের! বড় তথ্য ফাঁস!

দিল্লির মাটিতে চরম অসভ্যতা তৃণমূলের? বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ পুলিশের! বড় তথ্য ফাঁস!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ নেই, তা নতুন করে বলতে হবে না। সকলেই জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার কিভাবে প্রশাসনকে পরিচালনা করেন! কিভাবে সেই প্রশাসন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে। কিন্তু সেই তৃণমূল দিল্লিতে গিয়ে কর্মসূচি করার স্বপ্ন দেখেছে। আর তাদের গান্ধী জয়ন্তীর মত গুরুত্বপূর্ণ দিনেও রাজঘাটে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে দু’ঘণ্টা অনুমতি দেওয়ার পরেও তৃণমূলের যে চরম অসভ্যতা সামনে এসেছে, তাকে দমন করতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইরেন বাজিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুবাবুর। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতারা। তবে তৃণমূলের সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে দিল্লির ঘটনা নিয়ে এইরকমই ভয়াবহ তথ্য ফাঁস করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সাংসদ এবং বাংলার মন্ত্রীরা অবস্থানে বসেন। তবে তাদের অবস্থানের একটি নির্দিষ্ট সময় ছিল। কিন্তু তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন, তখন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সরে যেতে বলা হয়। তবে এরপরেও তাদের গাজোয়ারি সেখানে লক্ষ্য করা যায় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পুলিশ বাধ্য হয়েই সাইরেন বাজিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দিতে বাধ্য হয়। আর এই ঘটনা নিয়েই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে নানা কথা বলতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে সব সময় পুলিশকে ব্যবহার করা তৃণমূলের নেতাদের। তবে সেই বিষয়কে তুলে ধরেই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মামার বাড়ির আবদার নাকি! একটা থেকে তিনটা সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও সেখানে অসভ্যতা করেছে। তাই সাইরেন বাজিয়ে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে।”

বিরোধীদের কটাক্ষ, তৃণমূলের নেতারা দিল্লী পুলিশের আচরণ নিয়ে এত বড় বড় কথা বলার সাহস পান কি করে! তারা বাংলায় কি করেন? পুলিশকে তো স্বাধীনভাবে কাজ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। বিরোধীদের সভা সমিতিতে অনুমতি দেওয়া তো দূরের কথা, বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে আনা, তাদের ওপর অত্যাচার করা সব রকম কাজ করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। কার্যত তারা তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। আর দিল্লী পুলিশ একটু সাইরেন বাজিয়ে সরিয়ে দিয়েছে, তাতেই তৃণমূলের কত কষ্ট! এদের মুখ থেকে আর যাই হোক, গণতন্ত্র নিয়ে, পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে বড় বড় কথা মানায় না বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি পুলিশ নিয়ে তৃণমূলের তোলা নাকে কান্নার কড়া ভাষায় জবাব দিলেন। তৃণমূল যেন সবটাই মামার বাড়ির আবদার পেয়ে গিয়েছে। তারা যেমন ভাবে বলবে সেভাবেই যেন সবকিছু চলবে এমনটাই ভাবতে শুরু করেছেন তৃণমূলের যুবরাজ দিল্লিটা যেন তাদের জমিদারি কিন্তু এই দিল্লির প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে যদি তৃণমূল নেতারা একটু হলেও শিক্ষা নেন তাহলে তার সকলের পক্ষেই মঙ্গল। যদি দিল্লী পুলিশ চাইত, তাহলে তৃণমূলকে এই কর্মসূচিই করতে দিত না। যা বাংলায় প্রতি মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয় বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তাই দিল্লিতে আন্দোলন সংগঠিত করার পরেও পুলিশের পক্ষ থেকে অত্যাচার করা হয়েছে বলে তৃণমূল নেতারা যে দাবি তুলছেন, তা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। যারা বাংলার প্রশাসন ঠিকমত চালাতে পারেন না, তারা দিল্লির মাটিতে এসে এত বড় বড় কথা না বললেও চলবে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!