প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ সর্বাধিক। করোনা সংক্রমনের শীর্ষে বিচরণ করছে এই রাজ্য। রাজ্যে করোনা সংক্রমনের পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ইতিপূর্বে রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকা বেশ কিছু ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্রে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্য প্রশাসনের জনৈক শীর্ষ পদাধিকারী। যে ঘটনা তীব্র আতঙ্ক ছড়ালো প্রশাসন ও রাজ্যবাসীর মনে।

প্রসঙ্গত, ৬১ বছর বয়স্ক মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সম্পতি এনসিপি-র শীর্ষনেতা শরদ পওয়ারের ভাইপো। তিনি শরদ পওয়ারের ভাই অনন্তরাও পওয়ারের পুত্র। তাঁর করোনা সংক্রমনের কারণে তাঁকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে যারা গত কয়েকদিনে এসেছিলেন, তারাও করোনা সংক্রামিত হয়েছেন কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ঠ আশঙ্কাজনক হলেও, দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। দু’মাস আগেও মহারাষ্ট্রের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ হাজার। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে যা ২০ হাজারে চলে গিয়েছিল। গত মাসের শেষের দিকে যা ২৫ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল।কিন্তু এখন মহারাষ্ট্রে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৬ থেকে ৭ হাজার নেমে এসেছে। এখনো পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ। তবে রাজ্য প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ পদাধিকারীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এই প্রথম এলো।

এদিকে রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তীব্রভাবে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে যা কিছুটা কমেছিল। কিন্তু সম্প্রতি আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস করোণা আক্রান্ত হলেন। টুইটারে টুইট করে তিনি নিজের করোনা সংক্রমণের কথা জানালেন। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর শরীরে করোনার কোন উপসর্গ নেই। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে থাকায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে উৎসব মিটে গেলেও দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি খোলা হবে না।

এদিকে করোনা সংক্রমনের কারণে মধ্যপ্রদেশে মাঠে নেমে আসন্ন উপ নির্বাচনের প্রচার সভা ও মিছিল স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়টি বিবেচনার জন্য সুপ্রিমকোর্ট বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। তবে, পূর্বে মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক দলগুলিকে মাঠে, ময়দানে নেমে নির্বাচনী সভা ও মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এক বিশেষ আবেদনের কারণে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের জনৈক মন্ত্রী। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার এক বিশেষ নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হলো। করোণা সংক্রমণের কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরাসরি প্রচার না করে ভার্চুয়াল প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হলো। সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশের কোন জেলাশাসক যেন কোন রাজনৈতিক দলকে মাঠে, ময়দানে নেমে নির্বাচনী প্রচারের অনুমতি না দেন। প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। করোনা সংক্রমন রুখতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলি।