এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোর মুখে নাকি গনতন্ত্রের কথা! বাংলায় পুলিশি তান্ডব কি ভুলে গেলেন অভিষেক ?

ভাইপোর মুখে নাকি গনতন্ত্রের কথা! বাংলায় পুলিশি তান্ডব কি ভুলে গেলেন অভিষেক ?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে পুলিশ নিয়ে, প্রশাসন নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে যা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তা শুনে ঘোড়াও হাসতে শুরু করেছে। বাংলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি তো অনেক দূরের কথা, কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করলে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করা হয় বিরোধী নেতা কর্মীদের। আর সেখানে দিল্লির মতো জায়গায় প্রতিবাদে বসার অনুমতি তৃণমূলকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, দিল্লিতে আর যাই হোক, গণতন্ত্রটা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও “প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে”, “এ কোন দেশে বাস করছি” এরকম নানা কথা শোনা গেল আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গলায়।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির রাজঘাটে দীর্ঘক্ষণ তৃণমূল অবস্থান প্রতিবাদে বসে। তবে একটি সময় পর পুলিশের পক্ষ থেকে সাইরেন বাজিয়ে তাদের শান্তিপূর্ণভাবেই সরে যাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সেখানেও গাজোয়ারি করেন অনেক তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ। যার ফলে পুলিশ কার্যত তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। আর এসবের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বড় বড় কথা বলতে শোনা যায় ভাইপোকে। তৃণমূলের এই নেতা বলেন, “বাংলাকে সব রকম ভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে এখন প্রতিবাদের ভাষাটুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ কোন দেশে বাস করছি? এখানে কথা বলা যাবে না!” আর তৃণমূলের যে নেতা এত বড় বড় কথা বলছে, তিনি যে রাজ্য থেকে সাংসদ হয়েছেন, যে বাংলা তার পিসি পরিচালনা করেন, যে বাংলার পুলিশ মন্ত্রী তার পিসি, সেই বাংলায় পুলিশ ঠিক কি করে, তিনি কি তা ভুলে গেলেন! দিল্লিতে এসেই কি বাংলায় চলা একের পর এক পুলিশি নির্যাতনের কথা ভুলে গিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে হবে, তার জন্য ফায়দা তোলার চেষ্টা করলেন এই তৃণমূল নেতা! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

বিরোধীদের অভিযোগ, বাংলায় বর্তমানে কথা বলার পরিস্থিতিটুকু নেই। কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বললেই, তার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের হেনস্থা করা হয়। আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তাকে তো প্রত্যেক জায়গায় সভা করতে বাধা দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। আর যারা প্রতিমুহূর্তে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে বাংলায়, তারা দিল্লিতে গিয়ে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সত্যিই, গণতন্ত্রকে হত্যা করে দিল্লিতে গিয়ে এত বড় বড় কথা বলার মত ঔদ্ধত্য তৃনমূল ছাড়া আর কারওর মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের যুবরাজ যিনি এত বড় বড় কথা বললেন, তিনি কি একবারও ভাবলেন না, বাংলায় তার দলের সরকার কিভাবে পুলিশকে পরিচালনা করে! পুলিশ অফিসাররা এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের মধ্যে এখন আর কোনো পার্থক্য নেই। বিরোধীরা সেটাই অভিযোগ করেন। কিন্তু দিল্লিতে যখন তৃণমূল তাদের কর্মসূচি করতে পারলো, তারপরেও সেই প্রশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশের গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করতে দুবার ভাবলেন না তৃণমূলের এই সর্বভারতীয় নেতা। একবারও তার মনে নাড়া দিল না, বাংলায় কিভাবে এই পুলিশি অত্যাচারে এই তৃণমূলের সন্ত্রাসে কত বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া রয়েছেন! সত্যিই যদি তিনি নেতা হবেন, তাহলে তার বুক ঠুকে অন্তত দিল্লির প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশংসা করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে যে কথা এই ভাইপো সাহেব বললেন, তার নিন্দা জানাচ্ছেন বিরোধীরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!