এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লিতে বসেও শুনতে হল চোর শব্দ! আর কবেই বা লজ্জা হবে? নাস্তানাবুদ তৃনমূল!

দিল্লিতে বসেও শুনতে হল চোর শব্দ! আর কবেই বা লজ্জা হবে? নাস্তানাবুদ তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের বিরুদ্ধে গোটা রাজ্যজুড়ে চোর,চোর স্লোগান তুলতে দেখা যায় বিরোধী নেতা কর্মীদের। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরেও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী বিধায়করাও “চোর ধরো জেল ভরো” এই স্লোগান দিতে থাকেন। কিন্তু এবার যেন কিছুটা অন্যরকম ঘটনা ঘটলো। দিল্লিতে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সাংসদ এবং বাংলার মন্ত্রীরা বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে ধরনা দিচ্ছেন, তখন রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, রাজ্য থেকে কয়েকশো চোর দিল্লিতে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা গেল তাকে।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “কলকাতা থেকে কয়েকশো চোর দিল্লিতে গিয়েছে। ইডি, সিবিআই চেপে ধরেছে। সেই কারণে তারা দিল্লিতে গিয়েছে।” অর্থাৎ দিল্লি গিয়েও তৃণমূলের কার্যত শান্তি নেই। সেখানেও তাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে কলকাতা থেকেই ঘুম উড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, এতকিছুর পরেও কি লজ্জা হবে শাসক দলের! তাদের কি চোখ খুলবে? তারা কি নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটবে! নাকি যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে বাংলার প্রশাসন!

একাংশের মতে, দুর্নীতি যে হয়েছে, তা তো স্পষ্ট। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ রেখেছে। কেন্দ্রের শুধু একটাই যুক্তি যে, হিসাব দাও, টাকা নাও। কিন্তু তাতেই তৃণমূলের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। যে কারণে তারা দিল্লিতে চলে গিয়েছে টাকা আদায় করতে। কিন্তু পুরো বিষয়টা এত সহজ নয়। দিল্লিতে তৃণমূল যেতেই পারে। সেখানে আন্দোলনও করতে পারে। কারণ তাদের প্রশাসন আর দিল্লির প্রশাসনে এক নয়। তারা অন্তত গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাটুকু দেয়। যা পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন দেয় না। তবে দিল্লিতে তৃণমূলের এই আন্দোলনকে এক ঢিলেই চাপের মুখে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চুরির যে অভিযোগ তিনি করলেন, তা গোটা জাতীয় রাজনীতিকে কাঁপিয়ে তুলেছে। তৃণমূলের প্রতি তাই সকলের একটাই প্রশ্ন যে, শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বলছেন, তা কি সত্যি? আর যদি তা মিথ্যেই হয়, তাহলে কেন তৃণমূল তাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পথে হাঁটছে না?

পর্যবেক্ষকদের মতে, ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্যর মত তৃণমূলের বিধায়করা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা জেলে রয়েছেন‌। অনেক তৃণমূল নেতাও জেলে রয়েছেন। তারপরেও তৃণমূল নিজেদের সততার প্রতীক হিসেবে দাবি করে। ভারতবর্ষে তো পশ্চিমবঙ্গ শুধু একটি রাজ্য নয়। আরও অনেক রাজ্য রয়েছে। সেখানে তো একশো দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুধু কেন পশ্চিমবঙ্গেই দেওয়া হচ্ছে না? কেন এই সরল সত্যটা বুঝতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস! বিজেপি যদি চাইত, তাহলে তো অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজ্যতেও তারা টাকা বন্ধ করে দিতে পারত। কিন্তু তা তো হয়নি। বেছে বেছে পশ্চিমবঙ্গেই কেন সেই টাকা বন্ধ হচ্ছে? কারণ, সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। তাই সেই টাকা বন্ধ করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নিজেদের দোষকে ধামাচাপা দিয়ে দিল্লির মাটিতে যতই আন্দোলন করুক, শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, এসব করে কোনো লাভ হবে না। বাংলায় চুরির যে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে, তার পর্দাফাস করে দিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে মোক্ষম জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!