এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আগে ইজ্জত, পরে লক্ষীর ভান্ডার! মমতার মুখোশ টেনে খুললেন শুভেন্দু!

আগে ইজ্জত, পরে লক্ষীর ভান্ডার! মমতার মুখোশ টেনে খুললেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির মহিলারা প্রকাশ্যে মুখ খুলে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, কি পরিমাণ যন্ত্রণার মধ্যে এতদিন সেখানকার মা-বোনেরা ছিলেন! কিভাবে তাদের ভোগ্য পণ্যে পরিণত করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা! তবে শুধু সন্দেশখালি নয়, পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতারা নিজেদের চাহিদা পূরণের জন্য এই সমস্ত কাজ করেছেন বলেই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর তার মাঝেই যারা এতদিন লক্ষীর ভান্ডার করে চেঁচামেচি করত, তৃণমূলের যে সমস্ত নেতা-নেত্রীরা রাস্তায় বেড়িয়ে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বড়াই করছেন, তাদের মুখোশটা কিন্তু এক মুহূর্তেই খুলে গেল। যেখানে মা-বোনেদের মান সম্মান বলতে কিছু নেই, তাদের প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের শিকার হতে হচ্ছে সেখানে কি হবে এই লক্ষীর ভান্ডারের পাঁচশো, হাজার টাকা দিয়ে? কোথায় যাচ্ছে সোনার বাংলা! এদিন সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা শুনে এই রাজ্যের প্রতিবাদী মানুষের। বিবেক দংশন তো বটেই, পাশাপাশি এ কোন বাংলা! তা নিয়েও রাগ, ক্ষোভ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র প্রেমী জনসাধারণের।

প্রসঙ্গত, এদিন সিরিয়ার সঙ্গে বাংলার তুলনা করেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালির মহিলারা যে কথা বলেছেন, তাকে হাতিয়ার করে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, মহিলাদের মান সম্মান সবার আগে। সেখানে লক্ষীর ভান্ডারে টাকা দিয়ে মা বোনেদের ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে পারবে না এই রাজ্যের সরকার। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এতদিন আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে সিরিয়ার ঘটনা দেখতাম। কিন্তু সন্দেশখালি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। মহিলাদের মান, সম্মান, ইজ্জত সবার আগে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাঁচশো, হাজার টাকা পড়ে।”

অনেকে বলছেন, এই সহজ সত্যটা সকলে বুঝতে পারছেন। কিন্তু কেন এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর এখনও পর্যন্ত চোখ খুলছে না? এত বড় ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসার পরেও কেন তিনি নীরব হয়ে রয়েছেন? আসলে ভোটব্যাঙ্ক বড় বালাই। এতদিন যে দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করে তার দলকে শক্তিশালী করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করানো যাবে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে যতই অভিযোগ থাক না কেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সব অভিযোগ মিথ্যে বলে স্থাপন করার চেষ্টা করছেন হয়ত এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই কারণেই তাকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে না। তবে রাজ্যের বিরোধী দল বা বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পর অন্তত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের প্রতিক্রিয়া সামনে আসা উচিত বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা পালনে ব্যর্থ। তিনি অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিন। রাজ্যের মা-বোনেদের চোখের জল তিনি হয়ত দেখতে পাচ্ছেন না। আর সেই কারণেই তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এসব করে তিনি আসল সত্যকে ধামাচাপা দিতে পারবেন না। আগামী দিনে ভোটবাক্সে এর জবাব পাবে ফ্যাসিস্ট দল তৃণমূল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কি হবে লক্ষীর ভান্ডারের পাঁচশো, হাজার টাকা দিয়ে? সেই টাকা তো আর মা বোনেদের মাটিতে মিশিয়ে যাওয়া মান সম্মানকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না! তবে এসব অনুভব করার মত ক্ষমতা হয়ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেই। সেই কারণে তিনি ভাবছেন, যা হচ্ছে হয়ে যাক, তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকলেই হবে। কিন্তু তার এই নীরবতা পালন যে দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। আগামী দিনে এটাই ক্ষোভ হিসেবে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে। যার ফসল খুব সহজেই পেয়ে যাবে রাজ্যের বিরোধী দল। আর ভোটব্যাঙ্কে ধ্বসে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!