এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে অদ্ভুত সঙ্কটে শিক্ষাব্যবস্থা! এবার দেশজুড়ে বিক্রি হয়ে যাওয়ার মুখে হাজার স্কুল?

করোনা আবহে অদ্ভুত সঙ্কটে শিক্ষাব্যবস্থা! এবার দেশজুড়ে বিক্রি হয়ে যাওয়ার মুখে হাজার স্কুল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির সঙ্গে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা করোনার কারণে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। তবুও সরকার থেকে বলা হয়েছিল যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের যেকোনোভাবে শিক্ষা দিতে হবে, সেটা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমেই হোক বা প্রজেক্ট তৈরির কাজের মাধ্যমেই হোক। পড়াশোনা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে স্কুলের বেতনকেও অর্ধেক করার অনুরোধ জানিয়েছিল সরকার।

কারণ বিভিন্ন স্কুলের বার্ষিক ফি হিসেবে যে পরিমাণ টাকা দিতে হয়, তাতে মানুষের কর্মহীনতার সময়ে সেটা জোগাড় করা যথেষ্টই কষ্ট সাপেক্ষ। কারণ করোনার কারণে বহু মানুষ কর্ম হারিয়েছেন। তাদের সকলের কথা মাথায় রেখেই এই কনসিডারেশনের কথা এসেছিল সরকারি তরফে। তবে সেই সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না পড়ে তবে সেই কথা মাথায় রেখে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাইনে আবার যাতে ঠিকঠাক করে দেওয়া হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছিল সরকার। তবে এমন প্রসঙ্গে স্কুলগুলি চালানো যে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কারণ যেকোন একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। আর সেটা আসতো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ফি বা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেহেতু দেশের ব্যবসা মুখ থুবরে পড়েছে, তাই সেই বিনিয়োগের ক্ষেত্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে সম্প্রতি দেশের এক হাজারেরও বেশি বেসরকারি স্কুল বিক্রি হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, ওই স্কুলগুলিকে বাঁচাতে কমপক্ষে ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেই দাবি করা হয়েছে একটি সমীক্ষায়। তবে সেক্ষেত্রে স্কুলের বেতন না পাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ অভিভাবকরাই স্কুল ফি দিতে অপারগ। অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই এক এক ক্ষেত্রে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পড়ে স্কুলের মালিকানা হস্তান্তর করার পথেই হাঁটছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের একাংশ। আর এই পরিস্থিতি নিয়েই স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ ভেবে কপালে ভাঁজ পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের।

এক স্কুল চেইনের অংশীদারের কথায়, তাদের দেশজুড়ে ৩০ থেকে ৪০টি স্কুল রয়েছে বলে জানা গেছে। এবং সেগুলো চালাতে বছরে ১৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। তবে এই স্কুলগুলোতে যারা বিনিয়োগ করেন তারা বেশিরভাগই ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ করেন বলে জানা যায়। তবে সম্প্রতি করোনা মহামারীর কারণে সমস্ত ব্যবসায়ী লোকসানের মুখ দেখেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও আর বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। এ কারণেই মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক সহ বহু রাজ্যে স্কুল বিক্রি করে দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। তবে কিছু স্কুল বাঁচাতে বহুজাতিক সংস্থা গুলি শিক্ষা কর্মীদের বেতন ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে বলেও জানা যায়। তবে এত কিছু করেও দেশের ৮০% শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ধীরে ধীরে হাতবদল হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!