প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সংবিধান দিবসের দিনে দিল্লির সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত হল বিশেষ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠান থেকে সরাসরি নাম না করেও পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে প্রবল কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করলেন, পরিবার তন্ত্র বারবার সংবিধানকে লংঘন করেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে চলছে পরিবার তন্ত্র।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে পরিবার তন্ত্রর রাজনীতি করা হচ্ছে। এই দলটি এখন ফর দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, এরপরের টুকু কি তাঁকে বলে দিতে হবে? তিনি জানালেন, কোন দলে যখন এমনটি চলতে থাকে, তখন সংবিধানের উপর বড় রকমের আঘাত আসে। যুগ যুগ ধরে একটি পরিবারের হাতে যদি দায়িত্ব থাকে, তাহলে ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বাড়তে বাধ্য।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, আগে জাপানে এমনটা চলত। কিন্তু সেখানে যখনই জনগণ সচেতন হয়েছেন, তখনই দেশটির অবস্থা বদলে গেছে। ভারতেও অবস্থা ক্রমশ বদলাতে শুরু করছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বলতে চান না, একটি পরিবার থেকে ২ জন, বা ৩ জন বা তারও বেশি সংখ্যক সদস্য রাজনীতিতে আসতে পারবেন না। যোগ্যতা থাকলে তারা নিশ্চয়ই নেতৃত্বে আসতে পারবেন। কিন্তু যদি দেখা যায় শুধুমাত্র বিশেষ একটি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া হচ্ছে, তখন প্রশ্ন তো উঠবেই।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, দেশের ও দেশের উন্নতির জন্য বাবাসাহেব আম্বেদকার রচনা করেছিলেন সংবিধান। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তিনি এই কাজ করেছিলেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের কর্তব্য হলো সেই সংবিধানকে মেনে চলা। সঠিক পথ দেখানো তাঁদের কর্তব্য। কর্তব্য থেকে দায়িত্ববোধ আসে, দায়িত্ববোধ থেকেই রাজনৈতিক নেতারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। মহাত্মা গান্ধী সেই রাস্তাই দেখিয়েছিলেন দেশকে।