এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রীকে “পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত” বললেন মমতা, জোর শোরগোল!

প্রধানমন্ত্রীকে “পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত” বললেন মমতা, জোর শোরগোল!


 

অতীতে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে বারবার আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। যেখানে কখনও কাকড়ের মিষ্টি পাঠানো, আবার কখনও বা কোমরে দড়ি পরিয়ে জেলে ঢোকানোর কথা বলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাকচতুর নরেন্দ্র মোদী বরাবরই সুকৌশলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন।

অনেক ক্ষেত্রে পুলওয়ামা কান্ড হোক বা দেশের স্বার্থ জড়িত অন্য কোনো ঘটনা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেহ প্রকাশ করলেই বিজেপির তরফ তাকে পাকিস্তানের সাথে যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ করা হত। এমনকি সম্প্রতি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু তৃণমূলের সঙ্গে পাকিস্তানি যোগের কথা উল্লেখ করেছেন।

আর এবার তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত” বলে বসলেন। যা নিঃসন্দেহে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শুক্রবার শিলিগুড়িতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিশাল মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মিছিলের আগেই শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ের কাছে সরকারি ট্যুরিস্ট লজের সামনে কুড়ি মিনিটের বক্তব্য রাখেন তিনি। যেখানে আগাগোড়া নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে চলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

তিনি বলেন, “এনআরসির নামে মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আজকে আমাদের নতুন করে প্রমাণ করতে হবে, আমি এ দেশের নাগরিক কি না! এটা সবথেকে বড় লজ্জা। এখন অধিকারের কথা বললেই বিজেপি নেতারা বলছেন, পাকিস্তানে চলে যাও। নরেন্দ্র মোদী আপনি পাকিস্তানের সঙ্গে কেন আমাদের দেশের তুলনা করছেন! আপনার লজ্জা করে না! আপনি কি ওই দেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে এসেছেন যে, সব কিছুতে তাদের মহিমান্বিত করছেন! দেশে কি হচ্ছে! বেকারত্বের কথা, খাদ্যের কথা, শিল্পের কথা, নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছ বললেই বলছে পাকিস্তানে চলে যাও। কেন এটা বলবেন!”

আর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলে অভিহিত করাতেই এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, বিজেপি অনেকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ নিয়ে তাকে কটাক্ষ করেছেন। আর এবার সেই কটাক্ষ ধুলিস্যাৎ করতেই বিজেপির উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি বেশি পাকিস্তানের নাম নেওয়ায় তাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অন্যদিকে এদিকে বিজেপি নেতাদের এক এক সময় এক এক কথা নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওরা সকালে, দুপুরে, বিকেলে এক একজন একএক রকম কথা বলছে। এখন বলছে বিজেপির মাদুলি চাই। তাহলে নাগরিকত্ব পাবে। তাদের বলছে নাগরিকত্ব দেবে। আপনারা কি নাগরিক নন! কতবার ভোট দিয়েছেন। তাহলে আবার কিসের নাগরিকত্ব লাগবে! আমি উদ্বাস্তুদের জন্য সবথেকে বেশি আন্দোলন করেছি। উদ্বাস্তু কলোনিগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছি।”

শুধু তাই নয়, এদিনের এই সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে তুলোধোনা করে স্বাধীন দেশের বিজেপি সর্বনাশ করছে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রয়োজন সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। সকলকে ভোটার লিস্টে নাম তোলার আহ্বান জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখন বেশি করে ভোটার লিস্টে নাম তুলুন। 15 তারিখ পর্যন্ত সংশোধনের কাজ চলবে। কায়দা করে সংশোধনের নামে সব ভুল করে দেবে। যাতে বাতিল হয়ে যায়। আপনার নাম ঠিক থাকলেও বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানের নাম ভুল করে দিচ্ছে। আপনারা সব কাজ ছেড়ে দিয়ে এখন ভোটার লিস্টের কাজ করুন।”

এদিকে এদিনের বক্তব্য শেষে শিলিগুড়ি শহরের দলের নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে সুবিশাল মিছিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে নাগরিকত্ব বিরোধী সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলে অভিহিত করে রীতিমতো শোরগোল তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!