এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ধুপগুড়ি বলছে, বিজেপি আসছে! ভোট শুরু হতেই চওড়া হাসি শুভেন্দুর!

ধুপগুড়ি বলছে, বিজেপি আসছে! ভোট শুরু হতেই চওড়া হাসি শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সকাল থেকেই রাজ্যে চলছে ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। দুই একটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া তেমন কোনো অশান্তির খবর সামনে আসেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপ থেকে শুরু করে সিসিটিভি, বিরোধীদের যথেষ্ট নিশ্চিন্ত রেখেছে। তবে মানুষের সমর্থন যাচ্ছে কাদের দিকে, তা নিয়ে সব পক্ষই উদগ্রীব। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভোটের রাজনীতিতে চুল পাকানো রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অবশ্য বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছেন, কি হচ্ছে ধুপগুড়িতে। তাই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ধুপগুড়ির নির্বাচন নিয়ে যে তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্ট, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, “দু-একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হচ্ছে। কিছু জায়গায় মেশিন খারাপের খবর পাওয়া গিয়েছে। আমরা অভিযোগ সব জায়গায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। অবজারভাররা যারা রয়েছেন, তারা আমাদের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি খুব ভালো। উপনির্বাচনের প্রথম দিকে স্লো ভোট হয়। কিন্তু এবার ভোট খুব খুব ভালো হচ্ছে।” অর্থাৎ পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার মতো স্থানীয় স্তরের নির্বাচন নিয়ে বিজেপি কথায় কথায় যে অভিযোগ করে ধুপগুড়ির বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির তেমন কোনো অভিযোগ নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। আর এর ফলেই একাংশ মনে করছেন ধুপগুড়িতে এবারেও ফুটতে পারে পদ্মফুল। তবে কি হবে, তা ভোটবাক্স খোলার পরেই স্পষ্ট হবে।

বলা বাহুল্য, ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচারের একদম শেষ লগ্নে বাজিমাত করেছে পদ্ম শিবির। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়িকা মিতালী রায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। যার ফলে রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভোট বিজেপি নিজেদের দিকে রাখতে পারবে বলেই মত একাংশের। এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদারেরাও মাটি কামড়ে ধুপগুড়িতে পড়েছিলেন। ফলে বিজেপি নিশ্চিত যে, 2021 এ তারা যেভাবে এই আসন ধরে রাখতে পেরেছিল, এবারেও তারা সেই আসন ধরে রাখতে পারবে। তবে ভোটের দিন সকাল থেকে সব খবর নিয়ে শুভেন্দুবাবুও বুঝিয়ে দিলেন, এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত তারা যথেষ্ট খুশি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার মতো স্থানীয় ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার কারণে জনতার মতামত প্রতিফলিত হয় না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এক্ষেত্রে বাংলায় সন্ত্রাসের অভিযোগ বারবার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের সময় থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তাই সেভাবে সেখানে সন্ত্রাস করার সুযোগ নেই শাসকদলের। আর সেই কারণেই প্রথম থেকে ধুপগুড়ির উপ নির্বাচনে জনতা জনার্দন তাদের মতামত প্রদান করতে পারবেন বলে আশা রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। স্বভাবতই তার সেই আশা যে ফলপ্রসূ হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। তবে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য অনুযায়ী ভোটবাক্স খোলার পর ধূপগুড়িতে পদ্ম ফোটার সেলিব্রেশন করতে পারে কি না বিজেপি কর্মীরা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!