এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আদালতের নির্দেশে ফের নির্বাচন রাজ্যে, অশান্তির আশঙ্কায় ঘুম উড়বে মমতার! ২৪ এর আগে চিন্তায় তৃণমূল!

আদালতের নির্দেশে ফের নির্বাচন রাজ্যে, অশান্তির আশঙ্কায় ঘুম উড়বে মমতার! ২৪ এর আগে চিন্তায় তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে যে কোনো নির্বাচনে অশান্তির পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। রক্ত ঝরে, প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের। তবে নির্বাচন তো গণতান্ত্রিক অধিকার তাই সেই নির্বাচন করতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তবে এবার দ্রুত সেই নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এদিন অবিলম্বে নির্বাচন করানোর ওপরে জোর দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই যদি এই ছাত্র সংসদের নির্বাচন খুব দ্রুত সংঘটিত হয়, তাহলে কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে সেই নির্বাচন করতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তার ফলেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যেতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে রাজ্য সরকারকে। বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে পূজোর পরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দলগত ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইতোমধ্যেই সেই নির্বাচনের ব্যাপারে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। তবে তার মাঝেই দ্রুত নির্বাচন করানোর ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রাজ্যের চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে যেভাবে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এক অন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে 2016 সালের পর এই রাজ্যে আর ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। কলেজগুলিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি বজায় রয়েছে। তাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ যাতে ক্যাম্পাসে থাকে, তার জন্য আদালতের এই নির্দেশ অবিলম্বে পালন করা রাজ্য সরকারের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদরা। কিন্তু এই নির্বাচন যদি অবিলম্বে করা হয়, তাহলে আখেরে ক্ষতি হবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেও আশঙ্কা করছেন একাংশ। কিন্তু কেন এমন বলা হচ্ছে?

এক পক্ষের যুক্তি, সামান্য পৌরসভার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে কি পরিস্থিতি হয়, তা সকলেই দেখেছেন। প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় রক্ত ঝরতে দেখা যায়। বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফলে কলেজ ক্যাম্পাসে যদি ভোট হয়, তাহলে এতদিন পর নির্বাচনে শাসক-বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সংঘাত অন্য মাত্রা নিতে পারে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাধিপত্য রয়েছে, সেখানে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে চিন্তিত যে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, তাও বলার অপেক্ষা রাখেনা। হয়তো সেই কারণেই এতদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর রাস্তায় হাঁটেনি রাজ্য সরকার। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই অশান্তি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে বিরোধীরা রাজ্য প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের চাপ বাড়িয়ে দেবে। যা 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকেও যথেষ্ট বেগ দেবে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!