ভাঙ্গন ধরলেও সুর নরম নয়, হেভিওয়েট দুই নেতাকে বহিষ্কার করে বার্তা বিজেপির! রাজনীতি রাজ্য July 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবেই পরিচিত ভারতীয় জনতা পার্টি। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার ব্যাপারে কার্যত আত্মবিশ্বাসী ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাদের সেই আশা অধরা থেকে গিয়েছে। কোনোরকমে 77 টি আসন পেয়ে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপর থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন, তারা আবার বেসুরো হতে শুরু করেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন জেলার হেভিওয়েট নেতা-কর্মীরা আবার ফিরে যেতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের দলীয় শৃঙ্খলা অটুট রাখতে এবার দুই হেভিওয়েট নেতাকে বহিষ্কার করল গেরুয়া শিবির। আর বিজেপির এই উদ্যোগের ফলে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, বিজেপি নিজেদের পাল্লা ভারী করতে সংগঠন পরিচালনা করে না। অর্থাৎ শৃঙ্খলা অটুট রাখা যে তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, তা গেরুয়া শিবিরের এই ধরনের কড়া পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মালদহের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রকে। এছাড়াও দলীয় বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছে নিতাই মন্ডল নামে আরও এক বিজেপি নেতাকে। মূলত, তাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে। আর এই দুই নেতাকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে হুগলির অন্যতম বিজেপি নেতার সুবীর নাগকে। বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুগলি জেলা সফরে গিয়েছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেই সভায় তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির একাংশ। আর সেই বিক্ষোভের মুখে ছিলেন সুবীরবাবু বলে অভিযোগ উঠে আসে বিজেপি রাজ্য নেতাদের কাছে। আর সেই কারণেই তাকে সতর্ক করে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙ্গনের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন কার্যত সেই সমস্ত দিকে কান না দিয়ে সংগঠনকে ঘুরে দাঁড়াতে এবং শৃঙ্খলা অটুট রাখতে বিজেপির এই উদ্যোগ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের মতে, ভোটে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই নেতৃত্বদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা-পরায়ন দলে কেন এই রকম ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিতে শুরু করেছিলেন। তাই ভাঙনের আশঙ্কা করে বড় পদক্ষেপ নেওয়া থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে অন্য দলে যাওয়ার হিড়িক দেখা গেলেও, তাতে বিন্দুমাত্র আতঙ্কিত না হয়ে সংগঠনকে ঠিক রাখা এবং শৃঙ্খলা পালন করা যে তাদের দলের আশু কর্তব্য, তা দুই নেতাকে বহিষ্কার এবং এক নেতাকে সতর্ক করে দিয়ে বুঝিয়ে দিল গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দুই নেতা বহিষ্কার হওয়ার পর তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -