এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ধুপগুড়িতে জিতেও খুশি নন মমতা ? ভবিষ্যত নিয়ে বড়সড় শঙ্কায় তৃণমূল!

ধুপগুড়িতে জিতেও খুশি নন মমতা ? ভবিষ্যত নিয়ে বড়সড় শঙ্কায় তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপির দখলে থাকা ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে অবশেষে ফুটেছে ঘাসফুল। আনন্দিত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মীরা। এমনকি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোটা বিষয়ে সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সত্যিই কি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এই জয়ে খুশি? নাকি তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা আতঙ্কে দিন গুনছেন! একাংশের দাবি, তৃণমূল নিজেও জানে, তারা কিভাবে এই নির্বাচন পরিচালনা করেছে! তাই এই জয় যে তাদের কাছে জয় নয়, তা তৃণমূলের অনেক নেতারাও বুঝতে পারছেন।

বলা বাহুল্য, ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ভোটের দিন দেখা গিয়েছে, অনেক জায়গাতেই রাজ্য পুলিশের বাড়বাড়ন্ত। এমনকি রাজ্য পুলিশ বুথ কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে মূল দরজার সামনে পর্যন্ত দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এমন চিত্রও সামনে এসেছে। যে ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতেও দেখা গেছে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশের এসডিপিওর সঙ্গে বাদানুবাদেও জড়াতে দেখা গেছে বিজেপি প্রার্থীকে। ফলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করলেও, স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালিত হওয়ায় সেই নির্বাচন অনেক জায়গায় প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।

একাংশের দাবি, নির্বাচনের শেষ লগ্নে বিধিভঙ্গ করা থেকে শুরু করে এই কেন্দ্রে জিততে সব রকম কৌশল প্রয়োগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে সবরকম সুবিধা পেয়েছে তারা। আর এত কিছুর পরে তারা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মাত্র কয়েক হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এই ভোটে থাকলেও, লোকসভা ভোটে সবটাই থাকবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই সেই সময় তৃণমূল অসৎ উদ্দেশ্য অবলম্বন করতে পারবে না এবং তাদের সুবিধেও হবে না। আর তখন তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয় হবে‌। ফলে তৃণমূলের অনেকেও ভেতরে ভেতরে এই আশঙ্কায় দিন গুণছেন যে, আজকের জয়টা হয়তো জয়। কিন্তু আগামী দিন যে আসছে, তাতে কালঘাল ঘাম ছুটবে না তো?

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো সকলকে প্রকাশ্যে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি তো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি তো সবদিক থেকেই সব খবর নিয়েছেন। ফলে তিনি কি এই জয়ে খুশি হয়েছেন! কারণ যে কায়দায় তৃণমূল এই কেন্দ্রে জয় পেয়েছে, তা কি সত্যিই খুশি হওয়ার মতো! কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আগামী দিনে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান। তাই বাংলায় যদি তিনি বেশি আসন না পান, তাহলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে কি করে! তাই ধুপগুড়িতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে তৃণমূল এবার জয় পেলেও, আগামী লোকসভা তৃণমূলের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনছে না তো? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্নে কার্যত দোলাচলে রাজ্যের শাসক শিবির‌‌। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!