এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মিতালী ফ্যাক্টরে কি ব্যার্থ বিজেপি ! পরাজিত হয়েও ধুপগুড়ি নিয়ে খুশি পদ্ম শিবির !

মিতালী ফ্যাক্টরে কি ব্যার্থ বিজেপি ! পরাজিত হয়েও ধুপগুড়ি নিয়ে খুশি পদ্ম শিবির !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যে কেন্দ্র বিজেপির দখলে ছিল, সেখানে 4 হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূলের জয়লাভ বিজেপিকে কিছুটা হলেও হতাশ করেছে। কেননা প্রচারের একদম শেষ দিকে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়কে নিজেদের দিকে এনে চমক দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেকেই ভেবেছিলেন, যেহেতু এখানে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের আধিক্য রয়েছে, তাই মিতালী রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিজেপির ভোট আরও বাড়তে পারে। কিন্তু ফল সম্পূর্ণরূপে উল্টো হয়ে গেল। তবে বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এর পেছনে অন্য যুক্তি দিচ্ছে। তাদের দাবি, কোনো ব্যক্তি যোগদান করাতে সেই সব সম্প্রদায়ের ভোট প্রভাবিত হবে, এই নীতিতে বিশ্বাসী নয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে ধুপগুড়ির ফলাফল যে বিজেপিকে খুব একটা নিরাশ করেনি, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।

প্রসঙ্গত, ভোটের গণনাতে প্রথম থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চোখে পড়েছে। একটা বিশ্বাস ছিল সকলের মনেই, যে দলই জিতুক না কেন, খুব অল্প মার্জিনে তারা জয়লাভ করবে। শেষ পর্যন্ত এখানে জয়ের হাসি হেসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নেতৃত্বের যুক্তি এবার ভোট অনেকটাই কম পড়েছে, যার কারণে এই ফলাফল হয়েছে। পাশাপাশি তারা এটাও মনে করছেন যে, উপনির্বাচন সব সময় শাসকদলের পক্ষে যায়। তাই এবারও ধুপগুড়ির ফলাফলে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। যার কারণে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে তৃণমূল জয়ের আনন্দে মেতে উঠলেও, আগামী দিন নিয়ে আশাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, কম পরিমাণ ভোট পড়লেও এবার বিজেপির ভোট শতাংশ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিন লোকসভা নির্বাচনে যা বিজেপির জন্য অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। কিন্তু যে মিতালী রায়কে নিয়ে এত মাতামাতি করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই মিতালী রায়ের কোনো ফ্যাক্টরই কি কাজ করল না? গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহলের দাবি, বাংলায় অন্তত জাত পাতের ভিত্তিতে রাজনীতি হয় না। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন বিজেপির দিকেই রয়েছে। আগামী দিন তার প্রমাণ পেয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকুমা করার ঘোষনার প্রতিশ্রুতি। সাধারণ মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছেন। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এই উপনির্বাচনের ফলাফলে মানুষের সমর্থন গিয়েছে তৃণমূলের দিকে। সেখানে বিজেপিকে ভোট দিলে যে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না, তা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন সাধারণ মানুষ। তাই এই উপনির্বাচনে তারা শাসকের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছেন ঠিকই। তবে ফলাফলে বিজেপিও খুব একটা খারাপ জায়গায় না থাকায় আগামী দিন এই কেন্দ্রে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ার ভোটে বিজেপির পাল্লা ভারী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!