এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “ভোটের সময় তৃণমূল ভয় দেখাতো” ”দিদিকে বলো”তে বিস্ফোরক অভিযোগের মুখে পড়তে হলো বিধায়ককে

“ভোটের সময় তৃণমূল ভয় দেখাতো” ”দিদিকে বলো”তে বিস্ফোরক অভিযোগের মুখে পড়তে হলো বিধায়ককে

ভোটের প্রচার ছাড়া আর সেই ভাবে বিধায়ককে কাছে পাননা তারা। রাজনৈতিক সভা সমিতি ও মিটিং মিছিলে অবশ্য বিধায়কের দেখা মেলে। কিন্তু সেই ভাবে কথা বলার মতো সুযোগ হয় না তাদের। কিন্তু সম্প্রতি জনসংযোগ কর্মসূচি উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পদাধিকারী থেকে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিলে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন তৃনমূল বিধায়কেরা মানুষের কাছে গিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে শুরু করেছেন।

আর এই জনসংযোগ কর্মসূচি উপলক্ষে স্থানীয় বিধায়ক তাদের দোরগোড়ায় এসে তাদের অভাব অভিযোগের কথা শোনায় খুশি পশ্চিম খিলকাপুর গ্রামের ময়নাগদি, খিলকাপুরের সাধারণ মানুষেরা।

সূত্রের খবর, “দিদিকে বলো” কর্মসূচি নিয়ে শনিবার জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ। গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে কন্যাশ্রীর ছাত্রী, মাদ্রাসার ছাত্রী থেকে শুরু করে পথচলতি সাধারণ মানুষের হাতে দিদিকে বলোর কার্ড ও স্টিকার বিলি করেন তিনি। ময়নাহাটে গাড়ি থেকে নেমে বিধায়ক রথীন ঘোষ সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী পড়ে হাঁটতে শুরু করলে প্রথমে তাদের গ্রামে বিধায়ক এসেছে তা বুঝতে পারেননি কেউই।

তবে পরে দেখে তারা কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হয়। বিধায়ককে কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষেরা তাদের অভাব, অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। বিধায়ককে দেখেই সকলে হাতজোড় করে নমস্কার করেন। আর এরপরই বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তার ওপরে থাকা রেশন ডিলারের ব্যবসা করা মমতা দের আবদারে তার রেশন দোকানে যেতে হয় রথীন ঘোষকে। আর সেখানেই মোকারেম হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার অভাব অভিযোগের কথা বিধায়ককে জানাতে শুরু করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এই মোকারেম হোসেনের জমিতে একটি আইসিডিএস স্কুল রয়েছে। জমির সমস্যায় নতুন ভবন করতে না পারার জন্যই এই আইসিডিএস স্কুলটি তার বাড়ীতে নিয়ে আশায় এদিন বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এরপর একসাথে অনেক মহিলা বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানাতে এলে জরিনা বিবি নামে এক মহিলা তার রাজনৈতিক অভিযোগ পেশ করেন। অন্যদিকে আসমা বিবি নামে আরেক মহিলা পঞ্চায়েত থেকে কোনো সুবিধা পাননি।

এমনকি সরকারি ঘর থেকে তারা বঞ্চিত বলে বিধায়ককে জানান। আবার পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সাবিলা বিবি নামে আরেক মহিলা। আশা কর্মীরাও বিধায়ককে কাছে পেয়ে তাদের বেতনের সমস্যার কথা জানাতে ছাড়েননি। আর এরপরই এমবিএর ছাত্র মহম্মদ আদবান আলি একটা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং গ্রামের ছেলেদের ব্যবসার জন্য ছোটো ঋণের ব্যবস্থার আবেদন করেন মধ্যমগ্রামের বিধায়কের কাছে।

এদিকে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার পর পশ্চিম খিলকাপুর পঞ্চায়েত অফিসে বসে দলের কর্মীদের নিয়ে বিধায়ক সাহেব বৈঠক করার পর বিকেলে ফের এই গ্রামের একটি গাছের তলায় বসে স্থানীয় মহিলাদের নানা সমস্যার কথা শোনেন তিনি। গ্রামবাসীদের মূলত কি ব্যাপারে সব থেকে বেশি অভিযোগ! এদিন এই প্রসঙ্গে মধ্যমগ্রামে তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, “ঘরেরই বেশিরভাগ সমস্যা ছিল। অনেকেই আগে ঘর পেয়েছেন, তখন টাকা কম ছিল। এখন বাড়ির জন্য টাকা বেশি হয়েছে। এর ফলে নতুন করে দাবি করছেন।”

সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ প্রকল্প চালুর পরই সাধারণ মানুষ তাদের দুয়ারে বিধায়ককে পাওয়ায় অভাব, অভিযোগ জানাতে শুরু করলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!