প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবেই পরিচিত তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বৈতরণী পার করবার জন্য তাকে নিজেদের দলের রাজনৈতিক রণনীতিকার করেছিল ঘাসফুল শিবির। এবারে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন তার কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। তৃণমূলকে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আনতে সবথেকে বড় ভূমিকা রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের।

কিন্তু সত্যিই কি তিনি সেই ভূমিকায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতে যখন তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তরজা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই নরেন্দ্র মোদীর থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি করলেন প্রশান্ত কিশোর।

সূত্রের খবর, সোমবার একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দেন এই বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। যেখানে বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদী জনপ্রিয় হলেও বাংলার মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি জনপ্রিয় বলে দাবি করতে দেখা যায় তাকে। প্রশান্ত কিশোর বলেন, “আপনি যদি গোটা রাজ্য ঘুরে দেখেন, তাহলে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ পাবেন। কিন্তু তারপরেও বেশিরভাগ মানুষ দিদিকে ভরসা করে। সেই কারণেই এটা দিদির ভোট। আর বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির জনপ্রিয়তম নেতা হতে পারেন। কিন্তু বাংলায় দিদি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত জনপ্রিয় নন।”

স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন শুরুর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের এই দাবিকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যতই প্রশান্ত কিশোরের মত অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার চেষ্টা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। এবারে মানুষ তৃণমূলকে পরাজিত করবেন। কিন্তু প্রথম থেকেই তৃনমূল রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে কার্যত আত্মবিশ্বাসী।

এক্ষেত্রে বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা গেছে সেই প্রশান্ত কিশোরকে। আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার এক সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদীর থেকে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি জনপ্রিয় বলে তৃণমূল তৃতীয়বারের ক্ষমতায় আসছে তা কার্যত নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত করার চেষ্টা করলেন বিশিষ্ট এই রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সামনে আসায় তা কতটা মেলে, সেটা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।