এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > ডিজিটাল রাজনীতিতে পাল্লা দিতে মরিয়া বঙ্গ সিপিএমও, তহবিল গড়তে ফের হাত পাতছে লালশিবির

ডিজিটাল রাজনীতিতে পাল্লা দিতে মরিয়া বঙ্গ সিপিএমও, তহবিল গড়তে ফের হাত পাতছে লালশিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই রয়েছে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই। রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের তাই এখন শিরে সংক্রান্তি অবস্থা। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের জন্য একটা বড়সড় হাতিয়ার করে নিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ঝড় তুলতে বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্যকে আনা হয়েছে এ রাজ্যে। এ বিষয়ে পিছিয়ে নেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও। এ বিষয়ে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা নিয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোর। টিম আইপ্যাক উল্লেখযোগ্য কাজ শুরুও করে দিয়েছে। এবার এ বিষয়ে এগিয়ে এলো রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার তথা ডিজিটাল যুদ্ধে নামতে চলেছে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএম সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে ঝড় তুলতে চলেছে শুনে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। কারণ, অনেকেই মনে করেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া সিপিএমের খুব একটা পছন্দের বিষয় নয়। একজন যুব বাম নেতা জানালেন যে, গত ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারের কথা বলে সংগঠনের মধ্যে অপদস্থ হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এখন সে পথেই হাঁটছে সিপিএম। তাঁর কথায়, সিপিএম নেতারা সব কিছুই বোঝেন, কিন্তু বড় দেরি করে বোঝেন। যাই হোক, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ঝড় তুলতে প্রয়োজন যথেষ্ট অর্থের।

ডিজিটাল মিডিয়াতে প্রচার করতে গেলে যে, বিরাট অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ সংগ্রহের জন্য তহবিল গঠন করতে চলেছে সিপিএম। রাজ্য সিপিএমের ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে, এ কাজের জন্য মুক্ত হস্তে দান করার আবেদন জানানো হলো দলের কর্মীদের। এর সঙ্গে সঙ্গেই সিপিএম সদস্যদের ৩ দিনের আয় জমা দেবার কথা বলা হল দলের কাছে। এদিকে সিপিএমের সদস্যদের নিয়মিত দলকে লেভি দিতে হয়। তাদের মাসিক আয়ের একটা নির্দিষ্ট শতাংশ দলকে দিতে হয়। আয়ের কত শতাংশ দলকে দিতে হবে? তা দলের গঠনতন্ত্রে স্ল্যাব করে লেখা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নির্বাচনের সময়ও সিপিএম সদস্যদের তাদের একদিনের আয় দলের কাছে জমা দিতে হয়। বাম সরকার রাজ্যে ক্ষমতাসীন থাকার সময় সিপিএম সদস্যদের এই টাকা দিতে হতো। এখন জানানো হলো যে, নিউজ পোর্টাল করার জন্য সিপিএম সদস্যদের তিন দিনের আয় জমা দিতে হবে। এদিকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কাছেই নোনাপুকুরে একটি অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২৫, ৩০ জন দলীয় কর্মীকে। তবে, তাঁরা কেউই দলের হোলটাইমার নন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অগস্ট, অক্টোবর, ডিসেম্বর। ১ মাস বাদ দিয়ে, তিন মাসের এক দিনের আয় দলের কাছে জমা দিতে হবে সিপিএম কর্মীদের।

তবে দলের পক্ষ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, লকডাউনের ফলে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, দলের সেই সমস্ত সদস্য যদি আবেদন জানান, তবে তাঁরা অব্যাহতি পেতে পারেন। দলীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, দলের সদস্যদের কাছ থেকে তিনদিনের আয় সংগ্রহ করে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা তোলার লক্ষমাত্রা রেখেছে সিপিএম। এদিকে রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন যে, রাজ্যের শাসন ক্ষমতা চলে যাবার পর সিপিএমের অর্থভাণ্ডারে যথেষ্ট টান পড়েছে। তার ওপরে দলের সদস্য সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যেতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে যুদ্ধে নামতে ডিজিটাল মাধ্যমকে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিল সিপিএম। আর, তার জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু হল সিপিএমের পক্ষ থেকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ডিজিটাল মাধ্যমে সিপিএম কতটা প্রচারের ঝড় তোলে সে দিকেই দৃষ্টি সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!