এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রেডরোডে ধুন্ধুমার, ধর্নামঞ্চে নিজেদের মধ্যেই গন্ডগোলে তৃণমূল! কটাক্ষ বিজেপির!

রেডরোডে ধুন্ধুমার, ধর্নামঞ্চে নিজেদের মধ্যেই গন্ডগোলে তৃণমূল! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা রাজ্যটাকে উচ্ছন্নে পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা না হলে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে না। আগামী দিনে দিকে মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বাইরে বেরিয়ে আসবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তবে এরা সত্যিই কি রাজ্য চালানোর যোগ্য? যারা সামান্য একটা রাজনৈতিক দল চালাতে পারে না, যে দলে সকাল, বিকেল, দুপুর বিভিন্ন গোষ্ঠী মিলে গন্ডগোল করে, সেই দল কি করে আদর্শের কথা বলে! তারা নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে! বিজেপিকে নাকি দেশের ক্ষমতা থেকে সরাবে! আর সেই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করার অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে যে ধর্ণা শুরু করেছিলেন, আজ সেখানে হাওড়া জেলার ধর্না কর্মসূচি করার কথা ছিল। আর সেই ধর্না মঞ্চেই যে কাণ্ড ঘটে গেল, তা দেখে হতবাক রাজ্যবাসী। আজকে রেড রোডে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যাতে লজ্জায় আর মুখ দেখানোর মত জায়গা নেই এই রাজ্যের শাসক দলের। কিন্তু কি এমন হয়েছে?

প্রসঙ্গত, আজ হাওড়া জেলাকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল তারা রেড রোডে ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সেই মত চলছিল সকাল থেকে সেই কর্মসূচি। কিন্তু হঠাৎ করেই বেলা গড়াতেই সেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। দুই পক্ষ একে অপরকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এমনকি মঞ্চে যখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় উঠেছিলেন, তখন এক পক্ষ নীচ থেকে “গদ্দার হটাও” স্লোগান পর্যন্ত দেন। পরিস্থিতি যখন ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে, তখন লাগাম হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি মঞ্চ থেকে স্পষ্ট ভাষায় মাইকে ঘোষণা করেন যে, এটা গুন্ডামি করার জায়গা নয়। অবিলম্বে হাওড়া জেলার যারা নেতৃত্ব রয়েছেন, তারা মঞ্চ থেকে নেমে যান। অনেকে বলছেন, তৃণমূল নাকি বিজেপির থেকে অনেক ভালো দল! তারা নাকি আদর্শকে সম্মান করে! তাহলে সেই দলের এমন দৈনদশা কেন? কেন প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে করা কর্মসূচিতে এই তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়লেন? অবশ্য একাংশ বলছেন, আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতারা এমনটা করবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। এর থেকে বেশি এদের কাছে কিই বা আশা করা যেতে পারে?

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এইরকম চেহারা নিয়ে তৃণমূল নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে! আগে নিজেরা নিজেদের পরিবার ঠিক করুক, তারপরে অন্যের দিকে আঙুল তুলতে আসবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিজেরাই কার হাতে দলের ক্ষমতা থাকবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। মানুষ এদের প্রতি মুহূর্তে উপলব্ধি করছে। যারা সামান্য দল সামলাতে পারে না, তারা নাকি রাজ্য এবং দেশ সামলাবে! আগামী দিনে রাজ্যের মানুষ এদের সমূলে উৎপাটিত করতে প্রস্তুত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বিরাট বড় মাপের নেত্রী! তাহলে তার নেতৃত্বে যখন এত বড় আন্দোলন হচ্ছে, তখন সেই আন্দোলনের মঞ্চে কেন এই ধরনের গন্ডগোল হবে? কেন দলের রাজ্য সভাপতিকে ধমক দিতে হবে গন্ডগোল থামানোর জন্য! কি দল তৈরি করেছেন তৃণমূল নেত্রী, যেখানে শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই! তাহলে এই শৃঙ্খলাকে নিয়ে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার আশা রাখেন কি করে? আগে নিজেদের মতাদর্শ এবং লড়াইয়ের মানসিকতা ঠিক করুন। সামান্য দলের ক্ষমতা হাতে রাখার জন্য নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন! তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এরা যদি দেশের মানচিত্রে বিন্দুমাত্র জায়গা পায়, তাহলে দেশকে বিক্রি করে দিতেও দুবার ভাববে না। আসলে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধিতেই সবথেকে বেশি মনোযোগী হতে দেখা যায় তৃণমূল নেতাদের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!