এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >  মৃত্যুতেও রাজনীতি করার অভিযোগ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে! আক্রমণ ফিরহাদ, পার্থর!

 মৃত্যুতেও রাজনীতি করার অভিযোগ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে! আক্রমণ ফিরহাদ, পার্থর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। যত দিন গিয়েছিল, তত তার অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠেছিল অবশেষে বুধবার করো না। অবশেষে মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আর একজন রাজনীতিবিদ কথা জনপ্রতিনিধিকে করোনা ভাইরাসে বিদায় জানাতে মন ভারাক্রান্ত ছিল গোটা রাজনৈতিক মহলের।

কিন্তু সেই সময়ই সাত-পাঁচ না ভেবে তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুর জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে দীলিপবাবু বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, রাজ্যের শাসকদলের কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে এমন একটি শোকবিহ্বল মুহূর্তে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য রীতিমত অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। স্বভাবতই তৃণমূলের তরফ থেকেও পাল্টা দীলিপবাবুর মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক‌। একমাস ধরে উনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকার ভিআইপিদেরও চিকিৎসার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পারছে না। এটা ব্যর্থতা। শাসকদলের বিধায়ক, সাংসদরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কারণ তারা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মানছেন না। মুখ্যমন্ত্রীও তা মানছেন না। অথচ আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মানেননি‌। সকলকে বলে দিয়েছেন, মানার দরকার নেই। তার পরিণতিতেই আজ অনেকে অসুস্থ।”

আর তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুর পর যেভাবে দিলীপ ঘোষ রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন, তাতে তার বিরুদ্ধে এবার রাজনীতির অভিযোগ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন একটি টুইট করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আপনি কি মানসিক ভারসাম্য এবং শ্রদ্ধাবোধ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছেন! আমরা আমাদের প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়েছি। আর আপনি সেই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না।”

একইভাবে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিমক। তিনি বলেন, “যে কোনো মানুষের করোনা হতে পারে। যে কোনো মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই সময় যারা রাজনীতি করেন, এটা তাদের অত্যন্ত ছোট মনের পরিচয়। এটা রাজনীতির সময় নয়, পাগলের প্রলাপের উত্তর দেওয়ারও সময় নয়।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্য প্রশাসন যে করোনো পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ, তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন দিলীপ ঘোষ। অর্থাৎ তিনি সকলের কাছে এই বিষয়টি উপস্থাপিত করতে চেয়েছেন যে, রাজ্য প্রশাসন করোনা মোকাবিলা যদি সঠিকভাবে করত, তাহলে জনপ্রতিনিধির মৃত্যু হত না। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, দিলীপ ঘোষ বর্তমান সময়ে রাজনীতি করছেন। সব মিলিয়ে এবার তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুর পর রীতিমত শাসক-বিরোধী তরজা ফুটে উঠছে বাংলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!