এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিনে দিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের একের পর এক কারখানা,গোপন রিপোর্টে মুখ পুড়লো রাজ্য সরকারের

দিনে দিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের একের পর এক কারখানা,গোপন রিপোর্টে মুখ পুড়লো রাজ্য সরকারের


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয় যে, রাজ্যে ব্যাপকহারে শিল্পায়ন ঘটেছে, বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, কিন্তু রাজ্যের শিল্প ও কর্মসংস্থান নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। যদিও রাজ্য কখনো বিরোধীদের এই অভিযোগকে আমল দেয়নি। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে এক গোপন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যে রিপোর্ট সামনে আসতেই মুখ পুড়ছে রাজ্য সরকারের। কারণ বিরোধীদের দাবিকেই সত্য বলে প্রমাণ করে দিল এই রিপোর্ট।পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে পরিবেশ দপ্তর অনুমোদিত শিল্পের সংখ্যা ২০১৬ সালে ছিল রাজ্যতে ৬০ হাজার ৯৮০ টি। ২০২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৯। ছোট-বড়-মাঝারি মিলিয়ে ২১ হাজারেরও বেশি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে বৃহৎ শিল্পের সংখ্যা ২০১৬ সালে ছিল ১ হাজার ৩৩৭। ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০৬৬টি। অর্থাৎ পাঁচ বছরের মধ্যে ২৭১ টি বৃহৎ শিল্পের কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি জেলা। এই জেলাগুলিতে একের পর এক বড় শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে ৫ বছর সময়ের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই রিপোর্ট সামনে আসতেই বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানালেন যে, বারবার জনকল্যাণের কথা বলা হলেও তৃণমূল সরকারের কাজের মধ্যে দিয়ে জনকল্যাণ প্রকাশ পায় না। শিল্প থেকে কর্মসংস্থান সবকিছু তলানিতে এসে পৌঁছেছে। আর এই কথাটাই এতদিন ধরে তাঁরা বলে এসেছেন।

রাজ্য সরকারের এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সায়নদীপ মিত্র জানিয়েছেন যে, গত ১০ বছর ধরে ধাপ্পাবাজি দিয়ে কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার তাতে সীলমোহর বসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ও বাস্তবের মধ্যে যে বিরাট পার্থক্য আছে, এবার তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

রাজ্যের পরিবেশ দপ্তরের এই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের অস্বস্তি যে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় জানালেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাথমিক লক্ষই কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান ঘটানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করে চলেছে। করোনা সংক্রমণকালে বিভিন্ন রাজ্য আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হলেও পশ্চিমবঙ্গ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কর্মসংস্থানের, শিল্পায়নের লক্ষ্যে সবসময় রাজ্য সরকার কাজ করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!