এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > এবার কর্মীদের তৃণমূল না ছাড়ার করুন আর্জি জানালেন তৃণমূল সাংসদ

এবার কর্মীদের তৃণমূল না ছাড়ার করুন আর্জি জানালেন তৃণমূল সাংসদ

সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়, কিন্তু বকলমে তিনি একা দলের বিরুদ্ধে পথে হেঁটেছেন, একজন দলীয় বিধায়ক বা সাংসদ তাঁর সঙ্গ দেননি। আর এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানও শুনতে হয়েছে তাঁকে, জবাবে শুধু মুচকি হেসে বলেছিলেন, কিছুদিন অপেক্ষা করুন, সব দেখতে পাবেন। না, আজও কোনো দলীয় সাংসদ বা বিধায়ক তাঁর দেখানো পথে হাঁটেননি, কিন্তু তিনি একটু একটু করে নীচুতলায় ভাঙ্গন ধরাতে শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই, যদিও অতি-উৎসাহী তৃণমূল সমর্থকদের দাবী আদতে দলের বেনোজল বেরিয়ে যাচ্ছে, সত্যিকারের তৃণমূলীরা এখনো তাঁদের প্রিয় দিদি ও দলের পাশেই আছেন।
কিন্তু সত্যিই কি তাই? এবার যে দল না ছাড়ার করুন আর্তি এলো স্বয়ং দলীয় সাংসদের কাছ থেকেই। তাহলে কি সত্যিই ভাঙ্গনটা শুরু হয়ে গেছে, তাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা হচ্ছে? দলের বোলপুরের সাংসদ-অধ্যাপক অনুপম হাজরা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে লিখেছেন, সামনে পঞ্চায়েত ভোট, নিজেদের মান-অভিমানের কথা বারবার আমাকে না জানিয়ে, সরাসরি আমাদের জেলা সভাপতিকে জানান.নিশ্চয় কোন সমাধান সূত্র বের হবে, কিন্তু হঠকারিতায় বিজেপিতে যাবেন না! আর এই পোস্ট সামনে আসতেই ঝড় উঠে গেছে রাজনৈতিক মহলে। তুলে দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন – তাহলে কি অনুব্রতবাবুর দাপটে জেলায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুশি নন? তাঁরা কি একযোগে মুকুলবাবুর হাত ধরে বিজেপিতে যাবার পরিকল্পনায় আছেন? দলের মধ্যে ম্যান-অভিমান এমন পর্যায়ে গেছে যে জেলা জুড়ে আগামীদিনে বড়সড় ভাঙ্গন আসতে চলেছে? দলের মধ্যে কি তিনি মুখ খোলার জায়গায় নেই, তাই কি সোশ্যাল মিডিয়ায় এইভাবে জানাতে হচ্ছে? কিন্তু এই সব প্রশ্ন উড়িয়ে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন, অনুপম মনগড়া কথা লিখেছেন, শুনে রাখুন, আমার জেলায় কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। কর্মীরা আমার সঙ্গেই রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের পর মিলিয়ে নেবেন। যদিও একটি সংবাদপত্রের দাবি অনুযায়ী প্রত্যুত্তরে অনুপমবাবু শুধু জানিয়েছেন, আমার কথা যদি মনগড়া প্রমাণিত হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি আমি হব। কারণ, দলটাকে ভালোবাসি, তাই নিঃস্বার্থভাবে দলে এসেছি। এভাবে চোখের সামনে দলের ভাঙন দেখতে পারব না। তবে শত্রুপক্ষকে দুর্বল ভাবা ঠিক নয়। আমরা তো আগে বলতাম সিপিএমকে ভোট দেবেন না। তাহলে এখন কেন বলছি বিজেপিকে একটি ভোটও দেবন না? তার মানে বাংলায় বিজেপি-র শক্তি বাড়ছে তো!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!