দলিত বিধায়ক বিয়ে করলেন ব্রাহ্মণ কন্যাকে! বিধানসভার আগে জাতপাতের রাজনীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য! জাতীয় October 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সর্বধর্ম সমন্বয় বিরাজ করে ভারতবর্ষে। সকল জাতি উপজাতিকে নিয়ে একত্রিত হয়ে থাকার নাম ভারতবর্ষ। রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা ভোটের সময় এই কথাই বলে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে জাতপাতের নামে বিদ্বেষের ঘটনা ভারতবর্ষের বুকে ঘটতে দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে মেরে ফেলার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সারাদেশে। আর এবার সেই একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল তামিলনাড়ুতে। যেখানে 19 বছরের এক দলিত কন্যাকে বিয়ে করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিধায়কের বিরুদ্ধে। যেখানে সেই মেয়ের বাবার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিয়ের আগে মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাই দ্রুত যাতে প্রশাসন এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন, তার ব্যাপারে তিনি দাবি জানাতে শুরু করেছেন। তবে প্রশাসন যদি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সেই মেয়ের বাবা। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর এআইডিএমকে বিধায়ক এ প্রভু 36 বছর বয়সে মাত্র 19 বছরের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে প্রেম গড়ে উঠেছিল বলে খবর। প্রায় চার মাস আগে লকডাউনের মধ্যে সেই মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয় এই বিধায়কের। বেশ কিছুদিন ধরে মেলামেশা করার পর তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বর্তমানে মেয়ের বাবা সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তবে বিধায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিয়ের আগে তিনি মেয়ের বাবার কাছে অনুমতি চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের বাবা জাতিতে ব্রাহ্মণ হওয়ায় তিনি এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। ফলে মেয়ের পিতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই সেই বিধায়ক সেই মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন। যার ফলে জাতপাতের ঘটনা যে ভারতবর্ষে এখনও সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায়নি, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন সকলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মেয়ের বাবা স্বামীনাথন বলেন, এই এআইডিএমকে বিধায়ক জোর করে এবং ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছেন। মেয়ে নাবালিকা থাকাকালীন তাকে প্রেমের ফাঁদে ফাসিয়েছিলেন। এতদিন মেয়েটির সাবালিকা হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। উনিশে পা দিতেই বিয়ে করে ফেলেছেন বিধায়ক। বিয়ের বেশ কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল।” কিন্তু বর্তমানে জাতপাত প্রথা তো ভারতবর্ষে সেভাবে নেই! তাহলে কি বিধায়ক দলিত হওয়ার কারণেই তিনি তার মেয়েকে তার সঙ্গে বিবাহ দিতে রাজি হলেন না! কিন্তু এমনটা কেমন হবে? ধর্মের কাছে কেন বারবার পরাজিত হবে ভালোবাসা? এদিন এই প্রসঙ্গে স্বামীনাথন বলেন, “দলিত হওয়াটা আপত্তির কারণ নয়। আপত্তির কারণ বর এবং কনের বয়সের পার্থক্য। পুলিশ যদি এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে আমি আত্মহত্যা করব।” তবে মুখে কনের বাবা যে কথাই বলুন না কেন, শুধুমাত্র দলিত হওয়ার কারণেই যে বিধায়কের সঙ্গে তিনি বিবাহ দিতে তার মেয়ের রাজি হননি, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে যদি এই ব্যাপারটিই মূল কারণ হয়, তাহলে ভারতবর্ষে জাতপাত প্রথা যে ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -