এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দ্রুত রাজ্যে হতে পারে উপ নির্বাচন, কমিশনের বিশেষ নির্দেশে বাড়ছে তীব্র জল্পনা

দ্রুত রাজ্যে হতে পারে উপ নির্বাচন, কমিশনের বিশেষ নির্দেশে বাড়ছে তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের মোট সাতটি কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। দ্রুত উপ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। একাধিক তৃণমূল সাংসদ যেখানে ছিলেন। কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যে দ্রুত উপ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরেই রাজ্যে উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। যেসব কেন্দ্রে উপ নির্বাচন করা হবে, সেখানে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। যা থেকে অনেকে মনে করছেন, আগস্ট মাসের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বর মাসে হতে পারে রাজ্যে উপনির্বাচন।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে দ্রুত উপ নির্বাচনের দাবি করা হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে করোনা আবহে উপ নির্বাচনের বিরোধিতা করা হয়েছে। যে সমস্ত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলি হল ভবানীপুর, খড়দহ, বাসন্তী, শান্তিপুর, দিনহাটা, জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ। প্রসঙ্গত জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। এ কারণে এই কেন্দ্রগুলিতে নতুন করে ভোট যন্ত্র পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু অন্যান্য কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইভিএম ও ভিভিপ্যাট পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচনী দপ্তরের জনৈক আধিকারিক জানান যে, তাঁরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। বিধানসভা বা রাজ্যসভা সমস্ত নির্বাচনের জন্য তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব দ্রুত ইভিএম ও ভিভিপ্যাট যন্ত্রের প্রথম পর্যায়ে চেকিং করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। যে সমস্ত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেখানকার জেলাশাসককে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন থাকলেও একটি কেন্দ্রকে নিয়েই রয়েছে সবচেয়ে বেশি চাঞ্চল্য। যেটি হলো ভবানীপুর। যেখান থেকে প্রার্থী হবার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

এই আবহে গতকাল বিধানসভায় এসে রাজ্যসভার ভোটের পরিকাঠামো দেখেন নির্বাচন দফতরের অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। সেসময় জানানো হয় যে, রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রক্রিয়াতে গতি আনা হচ্ছে। তবে একথাও ঠিক যে, রাজ্য নির্বাচন দপ্তর নির্দেশ দিলেও নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে। তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির যথেষ্ট তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দ্রুত উপ নির্বাচনের দাবি করা হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচনের বিরোধিতা করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, রাজ্যে এখন লোকাল ট্রেন চলছে না। যার অর্থ হলো করোনা পরিস্থিতির নিশ্চয়ই রাজ্যে উন্নতি ঘটে নি। যারা লোকাল ট্রেন চালাতে পারছেন না,তাঁরা কি করে উপনির্বাচন করাতে চান? তিনি জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটছে, টিকাকরন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাজ্যে কোন নির্বাচন করা হয়, এমনটা তাঁরা চান না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!