এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্দিনের সঙ্গীর তৃণমূলে-যোগ, জোর ধাক্কা বিজেপির!

দুর্দিনের সঙ্গীর তৃণমূলে-যোগ, জোর ধাক্কা বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পর থেকেই দলের পুরোনো কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এক্ষেত্রে তৃণমূল বা অন্যান্য দল থেকে এসে নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার কারণে রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন দলের পুরোনো কর্মীরা। পরবর্তীতে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ বিধানসভা কেন্দ্রে পুরনো নেতা-কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের অনেক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

যার ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। আর ভরাডুবির পর যখন কিছু নেতা নেত্রী বেসুরো হতে শুরু করেছেন, তখন পাল্টা রাজ্য নেতাদের দিকে প্রশ্ন তুলে দিয়ে কেন পুরনো নেতাকর্মীদের এতদিন যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হল না, সেই বিষয়টি তুলে ধরছেন দলের একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নির্বাচনের আগে দলে আসা নেতা-নেত্রীরা যেমন দলত্যাগ করতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে, ঠিক তেমনই ভাঙ্গন তৈরি হয়েছে পুরোনো নেতাকর্মীদের মধ্যেও।

সুদীর্ঘ 34 বছর ধরে দলের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার ভোটে ভরাডুবির পর যখন অনেকে দল ছাড়তে শুরু করেছেন, তখন সেই দুর্দিনের বিজেপি নেতা নানুরের বিষ্ণু প্রকাশ সরকার তুলে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, এদিন বৃষ্ণুপ্রকাশ সরকারের সঙ্গে নানুর বিধানসভার অন্তর্গত বেশ কিছু অঞ্চল থেকে প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

যাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান। কিন্তু এতদিন ধরে বিজেপি করে আসা বিষ্ণুপ্রকাশবাবু কেন হঠাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন? তিনি তো বহু উত্থানন পচরের সঙ্গী! বর্তমানে 77 টি আসন পেয়ে দল তো রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে। কিন্তু এতদিন বিজেপির যখন কোনো সাংগঠনিক শক্তি ছিল না রাজ্যে, তখন তিনি বিজেপির হাল ধরেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও দল বিরোধী দলের জায়গা দখল করে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করার পরেও কেন দুর্দিনের এই বিজেপি নেতা দল ত্যাগ করলেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপ্রকাশ সরকার বলেন, “গত 34 বছর ধরে আমি বিজেপি করলেও কখনও যোগ্য সম্মান পাইনি। বর্তমানে যেভাবে বিজেপি চলছে, তা নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ রয়েছে। তাই আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। দল কোনোসময় আমার পাশে থাকেনি।”

এদিকে দুর্দিনের এই বিজেপি নেতাকে নিজেদের দলে যোগদান করাতে পেরে রীতিমত খুশি তৃণমূল কংগ্রেস‌। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, “নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকাতে বেশকিছু বিজেপি সমর্থক সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছিল। মানুষকে ভয় দেখিয়ে তারা এলাকাতে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সমস্ত গ্রামছাড়াদের ঘরে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘরে ফেরা এই সমস্ত গ্রামবাসীরা সপরিবারে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তারা আজীবন তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন বলেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন।”

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা দলের একাংশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। দলের দুর্দিনে যারা লড়াই করেছিলেন, তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি উঠতে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির ব্যাপক ভরাডুবি হলে রীতিমত চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল নেতৃত্ব। আর এবার দীর্ঘ 34 বছর ধরে বিজেপি করা বিষ্ণুপ্রকাশবাবুর নেতৃত্বে এক হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যার জেরে বীরভূম জেলায় যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!