দুর্গার বিসর্জনের মাধ্যমেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় প্রস্তুতি শুরু উৎসব মুখর বাংলায় রাজ্য হাওড়া-হুগলি October 21, 2018 বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আর তাইতো দশমীর সকালে যখন ঘরের মেয়ে উমাকে চোখের জলে বিদায় জানাতে ব্যাস্ত সকলে ঠিক তখনই জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজো ঘিরে উচ্ছাসে ভাসল চন্দননগর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্গাপুজো বাংলার শ্রেষ্ট উৎসব হলেও চন্দননগরের মানুষরা অপেক্ষা করে থাকেন দেবী জগদ্ধাত্রীর জন্যই। তবে একেবারে যে এখানে দুর্গাপুজো হয় না, তা নয়। হয় ঠিকই, তবে সেভাবে থিম এবং বিগ বাজেটের পুজো দেখাই যায় না চন্দননগরে। তবে সেইসবই চোখে পড়ে এই জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়। এদিন সেই জগদ্ধাত্রী পুজোরই প্রাথমিক সূচনা হয়ে গেল চন্দননগরে। সূত্রের খবর, প্রথা মেনে এদিন এখানকার ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারি এবং পারিবারিক পুজোর কাঠামো পুজো দিয়েই উৎসবের চেহারা নেয় এই এলাকা। জানা গেছে, ইতিমধ্যে এই জগদ্ধাত্রী দেবীকে স্বাগত জানাতে এবং চমক দিতে বিগ বাজেটের পুজো মন্ডপগুলিতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। যেমন, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের চাউলপট্টি আদি জগদ্ধাত্রী পুজো, উর্দিবাজার জগদ্ধাত্রী পুজো, লক্ষীবাজার সার্বজনীন, ফটকগোড়া সার্বজনীন, মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন সহ একগুচ্ছ পুজো কমিটি দশমীর সকালেই খুটি পুজোর কাজ সেরে ফেলেছে। প্রতিবারের মত এবারেও মন্ডপসজ্জায় চমক দেওয়ার পাশাপাশি আলোর রোশনাইকে শহরকে সাজাতে কসুর করছেন না ক্লাব উদ্যোক্তারা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক পাশাপাশি ঐতিহ্যমন্ডিত চন্দননগরের এই জগদ্ধাত্রীপুজোকে ঘিরে দফায় দফায় চলছে প্রশাসনিক বৈঠকও। কিন্তু দুর্গাপুজোয় সারা বাংলা আনন্দ করলেও কেন শুধুমাত্র জগদ্ধাত্রী পুজোতেই সেই আনন্দে ভাসে এই চন্দননগর? এদিন এই প্রসঙ্গে উর্দি বাজারের বাসিন্দা জয়দেব সরকার এবং চাউলপট্টির বাসিন্দা প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “সারা রাজ্য দুর্গাপুজোর জন্যে অপেক্ষা করলেও আমরা এই জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যেই অপেক্ষা করি। এটা আমাদের কাছে প্রানের উৎসব।” সব মিলিয়ে উমা কৈলাসে ফিরে গেলেও মর্ত্যের চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে সাজো সাজত রব। আপনার মতামত জানান -