এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুর্নীতি দমন করতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর কড়া পদক্ষেপ, ঢেলে সাজছে দুর্নীতিদমন শাখা

দুর্নীতি দমন করতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর কড়া পদক্ষেপ, ঢেলে সাজছে দুর্নীতিদমন শাখা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় বিরোধীরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বিরোধীদের মধ্যে থেকে বারংবার তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে। পাশাপাশি স্বজনপোষণ নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয় বিরোধীরা। সম্প্রতি তো রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর পাহাড়ে দুর্নীতির কোথা বলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কোন দুর্নীতির চিহ্ন রাখতে নারাজ। তাই এবার তাঁরই সবুজসংকেতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের anti-corruption ব্রাঞ্চ অর্থাৎ এসিবি।

রাজ্যের ক্ষমতা হাতে তুলে নেওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার বার্তা দিয়েছেন কোনরকম দুর্নীতি তিনি মানবেননা। কিন্তু তারপরেও ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ভুইয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনায় পুলিশ এবং পুরসভা তাঁদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। তাই দুর্নীতিকে পুরোপুরি সমূলে উচ্ছেদ করতে মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধ শাখায় ব্যাপক নিয়োগ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, 34 জন সাব-ইন্সপেক্টর, 9 জন ওসি কিংবা আইসি এবং তিনজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার নিয়োগ করা  হচ্ছে।

একইসাথে জনসাধারণের সুবিধা এবং এসিভির কাজের পরিধি বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আলাদা জায়গায় পৃথক অফিস খোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বর্তমানে এসিভির অফিস রয়েছে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, যে কোনোরকম অনিয়ম, বঞ্চনা, দুর্নীতির আভাস পেলে এবার থেকে যাতে সাধারণ মানুষ সরাসরি এসিভিকে জানাতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার জন্য কিছু দিনের মধ্যেই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে খবর। অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, যারা অভিযোগ জানাবেন, তাঁদের নাম-পরিচয় গোপন থাকবে। প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতে বহুকাল ধরেই রাজ্যে আছে ভিজিলান্স কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নিয়মের কারণে বাংলায় অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের তদন্তে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা যায়না। অভিযুক্ত কর্মী অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে সেই দফতরের কর্তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় কমিশনকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ক্ষমতায় আসার পরেই এসিবির কার্যপরিধি অনেক বৃদ্ধি পায়। শুধুমাত্র সরকারি কর্মী-অফিসারই নয়, একইসাথে আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা যেগুলি রাজ্য সরকারের অর্থে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বলে পরিচিত সেখানকার কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগেরও তদন্ত চালাতে পারে এসিবি। মুখ্যমন্ত্রীর আমলে এই এসিবির ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

আপাতত এসিবির অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে নিয়োগ হয়েছেন মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার রিনা মিত্র। এর আগে তাঁর সিবিআই তে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ে মুখ্য উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ইতিমধ্যেই তিনটি অভিযোগ জমা পড়েছে এসিবির কাছে। মামলা শুরুর আগে অবশ্য নিয়মানুযায়ী রাজ্য সরকারের জরুরি নির্দেশ থাকা জরুরি এসিবির বলে জানা গেছে।

স্বাভাবিকভাবেই দুর্নীতি দমন ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের পাশাপাশি এখনো দুর্নীতি নিয়ে কথা উঠছে। বিশেষ করে ইয়াস দুর্যোগে একের পর এক বাঁধ ভেঙে পড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের নেতা থেকে সরকারি কর্মচারী কোন জায়গাতেই যাতে দুর্নীতির নামগন্ধ না থাকে, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বড়োসড়ো পদক্ষেপ। কার্যত দুয়ারে সরকার আনতে দুর্নীতিমুক্ত সরকার থাকা যে অত্যন্ত জরুরী তা বলাইবাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!