এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুষ্কৃতী হামলায় দুই জেলায় মারা গেলেন দুই প্রভাবশালী বিজেপি নেতা-কর্মী! আঙ্গুল তৃণমূলের দিকেই

দুষ্কৃতী হামলায় দুই জেলায় মারা গেলেন দুই প্রভাবশালী বিজেপি নেতা-কর্মী! আঙ্গুল তৃণমূলের দিকেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টবিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে প্রাণ যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। আর এবার শারদোৎসব মিটতে না মিটতে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল হাওড়া এবং উত্তর 24 পরগনা। জানা গেছে, গত অষ্টমীর রাতে জগদ্দলে আক্রান্ত হন মিলন হালদার এবং বাগনানে গুলিবিদ্ধ হন কিংকর মাঝি‌।

এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিলন হালদার এবং বুধবার কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় কিংকর মাঝির। ঘটনাচক্রে দুইজনই বিজেপির নেতা কর্মী বলে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে সরব হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

জানা গেছে, অষ্টমীর রাতে চন্ডীতলা বাসিন্দা মিলন হালদার বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। আর সেই সময় 7-8 জন তার উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর লাঠি, রড দিয়ে তাকে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় নর্দমায় ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। পরবর্তীতে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখলে পাড়ায় খবর দেওয়া হলে প্রথমে ব্যারাকপুর বি এন বোস স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই মিলন হালদারকে। কিন্তু সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতেই সেখানে মৃত্যু হয় তার।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা। এদিন এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “তৃনমুল হত্যার রাজনীতি করছে। বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছেন। পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।” তবে বিজেপি নেতার এই অভিযোগের পাল্লাটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রসঙ্গে ভাটপাড়া তৃণমূল আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, “বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই তাদের দলের কর্মীরা প্রাণ হারাচ্ছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে উত্তর 24 পরগনার পাশাপাশি অষ্টমীর রাতে বিজেপির সভাপতি কিংকর মাঝির পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তিন দুস্কৃতীর বিরুদ্ধে। যেখানে তাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। এরপর সেই বিজেপি নেতাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরবর্তীতে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক্ষেত্রেও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিজেপির কণ্ঠ স্তব্ধ করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে যেভাবে দুই ঘটনাতে বিজেপির দুই নেতা-কর্মী নিহত হলেন, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন ক্রমশ সরব হতে শুরু করেছে পদ্ম শিবির।

যদিও বা কিংকর মাঝি খুনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রে। এদিন এই প্রসঙ্গে বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, “পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে যে যাই বলুন না কেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিকে দিকে বিজেপি নেতা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় যে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে শাসকদল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!