এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > এ কেমন অবস্থা তৃণমূলের? রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই চলল ধস্তাধস্তি, সামাল দিতে নামতে হলো সাংসদকে

এ কেমন অবস্থা তৃণমূলের? রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই চলল ধস্তাধস্তি, সামাল দিতে নামতে হলো সাংসদকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বড়োসড়ো জয়লাভ করেছে তৃণমূল, দলের শ্রীবৃদ্ধি চলছে ক্রমাগত, কিন্তু এর মধ্যেই চাপা আশঙ্কা হয়ে ফিরে আসছে দলের বারবার গোষ্ঠী কোন্দল। মুখ্যমন্ত্রীর বারবার নানা নির্দেশ, দলের শীর্ষ নেতৃত্বে নির্দেশেও থামছেনা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। গতকাল তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা গেল খড়দহ বাজার এলাকায়। খড়দহতে উপনির্বাচনে লড়াই করছেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চিৎকার, চেচামেচি, মারামারি চলে। গন্ডগোল এতটাই হয়েছে যে, অবস্থার সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত নামতে হয়েছে বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল একের পর এক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শাসক শিবিরের কাছে।

খড়দহ উপনির্বাচন হতে চলেছে আগামী ৩০ সে অক্টোবর। খড়দহ থেকে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কাজল সিনহা। ভোটের সময় তিনি করোনা আক্রান্ত হন। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এবার খড়দহ থেকে লড়াই করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গতকাল তিনি খড়দহ বাজারে নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন।
গতকাল বহু তৃণমূল কর্মী এসে উপস্থিত হন খড়দহ বাজারে। অভিযোগ উঠেছে করোনা বিধি সম্পূর্ণ রকম লংঘন করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন যে, প্রচারের প্রথম দিন থাকার কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পরের দিন থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। কিন্তু গতকাল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এলাকায় পৌঁছাতেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র বচসা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কে আগে স্বাগত জানাবেন? তাই নিয়ে চলে ঝগরা। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় মারামারি। চিৎকার-চেঁচামেচি, মারামারি এতটা হয়েছিল যে, সাংবাদিক সম্মেলন করার সময়ও বারবার থেমে যেতে হয়েছিল শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়কে।

অবস্থা বেগতিক দেখে আসরে নামেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় । তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতাকে ডেকে সকলকে চুপ করানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উপনির্বাচনের প্রথম প্রচারে বেরিয়েই যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে তা দলের অস্বস্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বারবার নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!